ব্যক্তিগত প্রয়োজনে খরচ করার ব্যাপারটি পার্থিব মনে হলেও এতে আল্লাহ তাআলা প্রতিদান দেবেন। অন্যদিকে পরিবারের ভরণ-পোষণ খরচ বহনের বিষয়টিও জাগতিক বিষয় মনে হলেও এটি একটি মহান দ্বীনি দায়িত্ব ও কর্তব্য।
অন্যান্য ইবাদত-বন্দেগির চেয়ে কোরআন ও হাদিসে পরিবারের জন্য ব্যয়ের বিষয়টিকে কোনোভাবে কম গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। বরং নিজের ও পরিবারের জন্য বৈধ রিজিকের সন্ধান করা একজন মুসলিমের ফরজ বা অত্যাবশক দায়িত্ব।
এ গুরুভার কাজে রয়েছে বিপুল সওয়াব ও পুণ্য।
রাসুল (সা.) হাদিস শরিফে বলেন, ‘মানুষের সর্বোত্তম মুদ্রা সেটি, যা সে তার পরিবারের খরচে ব্যয় করে। ’ (মুসলিম : হাদিস ৯৯৪)
হাদিসে আরো এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘হালাল রিজিকের সন্ধান করা অন্যান্য ফরজ ইবাদতের পর অন্যতম একটি ফরজ। ’ (আল মুজামুল কাবির, হাদিস নং: ৯৯৯৩)
অন্য একটি হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘কোনো ব্যক্তি তার পরিবারে যে খরচ করে তা-ও সদকাস্বরূপ, অর্থাৎ এতেও সে সদকার সওয়াব পাবে। ’ (বুখারি : হাদিস নং: ৪০০৬)
উল্লেখ্য, সদকা অর্থ দান ও বদান্যতা; যার বিনিময়ে আল্লাহ আখেরাতে পুরস্কৃত করবেন।
পরিবারের জন্য সাধ্যমত খরচ করা আভিজাত্যের পরিচয় বহন করে। কৃপণতা করা সম্পূর্ণ অনুচিত। কৃপণতার ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ার বাণী এসেছে। কোরআনে ও হাদিসে অনেকবার সতর্ক করা হয়েছে। আল্লাহ আমাদের উত্তমভাবে পরিবারের জন্য ব্যয় করার তাওফিক দান করুন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২৩
এসআই