ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১ জিলকদ ১৪৪৬

ইসলাম

কুরআন-হাদিসে মধু পানের গুরুত্ব

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:২৫, জানুয়ারি ১০, ২০২৪
কুরআন-হাদিসে মধু পানের গুরুত্ব

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা দুনিয়াবাসীদের জন্য জান্নাতের যেসব খাবার পাঠিয়েছেন তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মধু। এতে রয়েছে অসংখ্য রোগের শেফা।

পবিত্র কুরআনুল কারিমে সুরা মোহাম্মাদে আল্লাহ তাআলা জান্নাতের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘এর তলদেশে প্রবাহিত হবে মধুর প্রবাহ’।

মধু হচ্ছে সুস্বাদু গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যনির্যাস। এটি শরীরের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। মধু একটি গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ, এতে কোনো সন্দেহ নেই এবং বিভিন্ন চিকিৎসার ক্ষেত্রে মধুর বিশেষ বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। মধুর নিরাময়শক্তি বিরাট ও স্বতন্ত্র ধরনের।

আল্লাহর হুকুম, রহমত ও কুদরতে মধু প্রতিটি রোগের ওষুধ। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘...তাতে মানুষের জন্য রয়েছে রোগের প্রতিকার...। ’ (সূরা: আন-নাহল, আয়াত: ৬৮ ও ৬৯)

অন্যদিকে বিভিন্ন হাদিসের বর্ণনার মাধ্যমে জানা যায়, রাসূল (সা.) মধু ব্যবহারে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে হাদিসের এক বর্ণনায় এসেছে, ‘আব্দুলাহ্ ইব্ন মাসঊদ (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা. বলেছেন, ‘তোমরা কোরআন ও মধু দিয়ে ব্যাধি নিরাময়ের ব্যবস্থা করবে’। (ইব্ন মাজাহ, আস-সুনান, খ. ২, পৃ. ১১৪২, হাদিস নং-৩৪৫২)

রাসূল (সা.) এর কাছে এক সাহাবি এসে তার ভাইয়ের পেটের অসুখের কথা বললে রাসুল (সা.) তাকে মধু পান করানোর পরামর্শ দেন এবং এতে সে সুস্থ হয়ে ওঠে। (বুখারি, আস-সহিহ, খ. ৫, পৃ. ২১৫২, হাদিস: ৫৩৬০)

মধুর মধ্যে রয়েছে অনেক রোগের প্রতিষেধক। যেকোনো রোগীকে মধু পান করানো হলে সে সুস্থ হয়ে ওঠে। (আল-বাইহাকি, আস-সুনানুল সুগরা, খ. ৮, পৃ. ৩৪৫, হাদিস: ৩৯৫৮)

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৪
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।