দেশের আকাশে শনিবার (৬ জুলাই) ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র মহররমের চাঁদ না দেখা যাওয়ায় সোমবার (৮ জুলাই) থেকে মহররম মাস গণনা শুরু হয়। সে অনুযায়ী ১৭ জুলাই (বুধবার) পালিত হবে পবিত্র আশুরা।
আশুরা عَاشُورَاء আরবি শব্দ; আশারা থেকে শব্দটির উৎপত্তি। এর অর্থ হচ্ছে ১০। আরবি সনের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখকে পবিত্র আশুরা বলা হয়।
বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশুরার রোজা নিজে রেখেছেন এবং উম্মতকে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আশুরার দিনে রোজা রাখেন এবং অন্যদেরও রোজা রাখার নির্দেশ দেন, তখন সাহাবিরা অবাক হয়ে বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! ইহুদিরা তো এই দিনটিকে মহান দিন মনে করে। এ দিনে তারাও রোজা পালন করেন। আমরা যদি এ দিনে রোজা রাখি তাহলে তো এদের সঙ্গে সামঞ্জস্য হবে’। তাদের প্রশ্নের জবাবে নবীজি (সা.) বলেন, তারা যেহেতু এদিন একটি রোজা রাখে, আগামী বছর ১০ তারিখের সঙ্গে ৯ তারিখ মিলিয়ে ২ দিন রোজা পালন করবো, ইনশাআল্লাহ। (মুসলিম: ১১৩৪)
আরেক বর্ণনায় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমরা আশুরার দিনে রোজা রাখো, তবে এ ক্ষেত্রে ইহুদিদের সঙ্গে মিল না হওয়ার জন্য ১০ তারিখের আগের দিন অথবা পরের দিন আরো একটি রোজা রেখো’। (মুসনাদে আহমদ: ২১৫৪)
হাদিসের আলোকে প্রমাণিত হয় যে, আশুরার রোজা ২টি রাখতে হবে। মহররমের ১০ তারিখ বুধবার (১৭ জুলাই) একটি, আর এর আগে মহররমের ৯ তারিখ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) অথবা পরের দিন মহররমের ১১ তারিখ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) আরো একটি।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৪
জেএইচ