ইফতার রোজার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। এ বিষয়ে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রয়েছে চমৎকার নির্দেশনা।
সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সারা দিন সিয়াম পালন শেষে সূর্যাস্তের পর প্রথম পানাহার করাকে ইফতার বলে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমরা রাত শুরু হওয়া পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ কর (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৭)।
যেকোনো হালাল বস্তু দ্বারা ইফতার করা যায়। তবে খেজুর দিয়ে ইফতার করা সুন্নত। যদি খেজুর না থাকে তাহলে কেবল পানি দ্বারাও ইফতার করা যায়। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমাদের কেউ যখন ইফতার করবে সে যেন খেজুর দিয়ে ইফতার করে, খেজুর না হলে পানি দ্বারা; নিশ্চয় পানি পবিত্র (মুসনাদে আহমদ : ১৬২৩৭)।
রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, রোজাদারের জন্য দুটি খুশি; একটি ইফতারের সময়, অপরটি আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় (সহিহ বুখারি : ৭৪৯২)
হাদিসে কুদসিতে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন, আমার বান্দাদের মধ্যে তারা আমার বেশি প্রিয়, যারা দ্রুত ইফতার করে (সুনানে তিরমিজি : ৭০০)। হজরত সাহাল বিন সাআদ (রা.) বর্ণনা করেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যত দিন লোকেরা ওয়াক্ত হওয়ামাত্র ইফতার করবে, তত দিন তারা কল্যাণের ওপর থাকবে। (সহিহ বুখারি : ১৯৫৭)। ইবনে মাজার বর্ণনায় (হাদিস : ১৬৯৮)-এর কারণ উল্লেখ করা হয়েছে, ‘কেননা ইহুদিরা তাদের ইফতার বিলম্বে করে। ’
ইফতারের সময়টিতে দোয়া কবুল হয়। তাই এ সময়ে দোয়ার প্রতি যত্নবান হওয়া উচিত। হজরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তিনটি দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। ন্যায়পরায়ণ শাসক, রোজাদার যখন সে ইফতার করে এবং মজলুমের দোয়া। আল্লাহপাক এটিকে মেঘের ওপরে তুলে নেন। এর জন্য আকাশের দরজাগুলো খুলে দেন। মহান প্রভু বলেন, আমার ইজ্জতের কসম, সময়ের ব্যবধানে হলেও আমি তোমাকে সাহায্য করব (সুনানে তিরমিজি : ২৫২৬)।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৫
জেএইচ