পবিত্র শবেবরাত আমাদের মাঝে সমাগত। মুসলমানদের মাঝে শবেবরাত নিয়ে নানা প্রস্তুতি রয়েছে।
শবেবরাতে কমবেশি সবাই চেষ্টা করেন কিছু নফল নামাজ পড়ার। হাদিসে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি নফল নামাজ আদায় করে, সে ব্যক্তি নামাজের মাধ্যমে তার পালনকর্তার অতি ঘনিষ্ঠতা লাভ করে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা কোরআনে কারিমে ইরশাদ করেন, ‘সিজদা কর আর আল্লাহতায়ালার নৈকট্য লাভ কর। ’
তবে শবেবরাতের নফল নামাজের কোনো বাঁধাধরা নিয়ম নেই। যত রাকাত ইচ্ছা এবং যে কোনো সূরা দ্বারা আদায় করতে পারবেন।
বাজারে প্রচলিত কিছু বই-পুস্তকে শবেবরাত উপলক্ষ্যে বিশেষ ধরনের নফল নামাজের বিভিন্ন নিয়মের কথা বলা আছে। সেখানে বিশেষ বিশেষ সূরা দিয়ে নামাজ পড়া বা নির্ধারিত রাকাত নামাজ বিশেষ সূরা দ্বারা আদায় করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু হাদিসে শবেবরাতের বিশেষ পদ্ধতির কোনো নামাজের কথা বলা হয়নি।
যারা শবেবরাত উপলক্ষ্যে নফল নামাজ পড়তে চান, তাদের জন্য ইসলামি শরিয়তের নির্দেশনা হলো- সব সময় যেভাবে নামাজ পড়া হয় সেভাবেই নামাজ পড়বেন। অর্থাৎ দুই রাকাত করে যতো রাকাত সম্ভব হয় নামাজ আদায় করবেন এবং যে সূরা দিয়ে সম্ভব হয় পড়বেন।
নফল নামাজের ক্ষেত্রে মনে রাখবেন, নামাজটা যেন একটু দীর্ঘ করা এবং সিজদায় দীর্ঘ কাটানো। এ বিষয়ে হাদিসের বর্ণনা পাওয়া যায়।
বলাবাহুল্য, যে কোনো বই-পুস্তিকায় কোনো কিছু লিখিত থাকলেই তা বিশ্বাস করা উচিত নয়। বিজ্ঞ আলেমদের নিকট থেকে জেনে আমল করা উচিত।
আরেকটি কথা, শবেবরাতের যাবতীয় নফল আমলসমূহ, বিশুদ্ধ মতানুসারে একাকী করণীয়। ফরজ নামাজ তো অবশ্যই মসজিদে জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হবে। এরপর যা কিছু নফল পড়ার- তা নিজ নিজ ঘরে একাকী পড়বেন। এসব নফল আমলের জন্য দলে দলে মসজিদে এসে সমবেত হওয়ার প্রমাণ হাদিস শরিফেও নেই আর সাহাবায়ে কেরামের যুগেও এর রেওয়াজ ছিল না। -ইকতিযাউস সিরাতিল মুস্তাকিম- ২/৬৩১-৬৪১
তবে কোনো আহ্বান ও ঘোষণা ছাড়া এমনিই যদি কিছু লোক মসজিদে এসে যায় তাহলে প্রত্যেকে নিজ নিজ আমলে মশগুল থাকবে, একে অন্যের আমলে ব্যাঘাত সৃষ্টির কারণ হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্ট, জুন ০১, ২০১৫
এমএ/