বছরের সবক’টি দিনের মধ্যে দশ মহররমের গুরুত্ব ও ফজিলত অনেক বেশি। হজরত মুসা আলাইহিস সালাম তার সম্প্রদায়কে নিয়ে আশুরার দিনে রোজা রাখতেন।
অন্য এক হাদিসে আছে হজরত আবু কাতাদাহ (রা.) থেকে বর্ণিত নবী করিম (সা.) বলেন, আমি আশা করি আশুরার রোজার উসিলায় আল্লাহতায়ালা অতীতের এক বছরের (সগিরা) গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। -জামে তিরমিজি: ৭৪৯ ও সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৭৩৮
আমিরুল মুমিনীন হজরত আলী (রা.) কে এক ব্যক্তি প্রশ্ন করেছিল, রমজানের পর আর কোনো মাস আছে যাতে আপনি আমাকে রোজা রাখার আদেশ করেন। তিনি বললেন, এই প্রশ্ন নবী করিম (সা.)-এর কাছে জনৈক সাহাবি করেছিলেন, তখন আমি তার খেদমতে উপস্থিত ছিলাম। উত্তরে নবী করিম (সা.) বললেন, রমজানের পর যদি তুমি রোজা রাখতে চাও তবে মহররম মাসে রোজা রাখ। কারণ এটি ‘আল্লাহর মাস’। এ মাসে এমন একটি দিন আছে যে দিনে আল্লাহতায়ালা একটি জাতির তওবা কবুল করেছেন এবং ভবিষ্যতেও অন্যান্য জাতির তওবা কবুল করবেন। -জামে তিরমিজি: ৭৩৮
আশুরার রোজা সম্পর্কে এক হাদিসে আছে, হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা আশুরার রোজা রাখ এবং ইহুদিদের সাদৃশ্য পরিত্যাগ কর, আশুরার আগে ও পরে আরও একদিন রোজা রাখ। -মুসনাদে আহমাদ: ১/২৪১
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত নবী করিম (সা.) বলেন, যদি আমি আগামী বছর বেঁচে থাকি তাহলে নয় তারিখেও অবশ্যই রোজা রাখব। -সহিহ মুসলিম: ২১৫৪
উল্লিখিত তথ্যগুলো থেকে প্রমাণিত হয় যে, আশুরার দিনটি শরিয়তের দৃষ্টিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশুরার দিন রোজা রাখা খুবই ফজিলতের। তবে তার আগে অথবা পরে আরেকটি রোজা সংযোগ করতে হবে। যাতে ইহুদিদের রোজা প্রথা থেকে মুসলমানদের আশুরা পালন ভিন্ন হয়। আল্লাহর রাসূল (সা.) সবসময় বিধর্মীদের অনুকরণ থেকে দূরে থাকতে বলেছেন। আল্লাহতায়ালা সবাইকে আশুরার ফজিলত লাভে ধন্য করুন। আমিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৫
এমএ