মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে চলছে ৫৮তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতা। ৬৯টি দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে সোমবার (২ মে) থেকে শুরু হওয়া প্রতিযোগিতার তৃতীয় দিনে বিভিন্ন দেশের নয়জন কারি প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।
বুধবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে আটটায় আফগানিস্তানের কারি সৈয়দ হামিদুল্লাহ হাসেমির কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তৃতীয় দিনের প্রতিযোগিতা। এর পর পর্যায়ক্রমে তেলাওয়াত করেন ফিলিপাইনের প্রতিনিধি মহিলা কারি সাবাহ, কম্বোডিয়ার কারি সালেহ বিন আহমদ।
তৃতীয় দিনের চতুর্থ তেলাওয়াতকারী হলেন বাংলাদেশি মেয়ে কারি শামসুন্নাহার সিদ্দিকা। এই বাংলাদেশি প্রতিনিধির বিশুদ্ধ উচ্চারণ ও সুকণ্ঠের তেলাওয়াত উপস্থিত বিচারক ও দর্শকদের প্রশংসা কুড়ায়।
বাংলাদেশি প্রতিনিধির তেলাওয়াতের পর সিংগাপুরের কারি আহমদ ডানিয়েল বিন মোহাম্মদ রিজাল তার পরিবেশনা নিয়ে হাজির হন। এর পর দ্বৈতকন্ঠে তেলাওয়াত করেন মালয়েশিয়ার কারি মোহাম্মদ হোসাইনি ও কারি মোহাম্মদ খাইর। তাদের তেলাওয়াত উপস্থিত দর্শক শ্রোতাদের ভীষণভাবে মুগ্ধ করে। কারি মোহাম্মদ হোসাইনি চলতি বছর থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আসিয়ান কোরআন প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন।
দ্বৈত কন্ঠের তেলাওয়াত শেষে প্রতিযোহিতার মঞ্চে হাজির জন আরেক বাংলাদেশি প্রতিনিধি কারি তাওহিদ বিন আলী। তার মনোমুগ্ধকর তেলাওয়াতের সময় উপস্থিত বাংলাদেশিরা মারহাবা, মারহাবা ধ্বনি দিয়ে উৎসাহ দিতে থাকেন। বিচারকরাও তার প্রশংসা করেন।
মালয়েশিয়ার আওকাফ ও ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয় এ প্রতিযোগিতার আয়োজক।
আন্তর্জাতিক এ প্রতিযোগিতা শেষ হবে শেষ হবে ৮ মে। ওই দিনই বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হবে। প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার হিসেবে নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্য থাকছে ১৮ হাজার ডলার মূল্যের সোনার বার ও নগদ ১০ হাজার ডলার।
**মালয়েশিয়ার কোরআন প্রতিযোগিতায় দুই বাংলাদেশি
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪০ ঘন্টা, মে ০৫, ২০১৬
এমএ/