এশিয়া এবং ইউরোপের অভিবাসীদের অর্থায়নে মসজিদটি নির্মিত হয়েছে। মসজিদ নির্মাণে ৫ লাখ মার্কিন ডলার ব্যয় হয়েছে।
এ জন্য স্থানীয় অভিবাসী মুসলমানদের বেশ পরিশ্রম করতে হয়েছে। মসজিদ নির্মাণের অনুমতি গ্রহণ, নির্মাণ সামগ্রীর জোগান সবকিছুই হয়েছে কঠোর পরিশ্রমের পর। এর পরও মুসলমানরা খুশি মসজিদটি নির্মাণ শেষ করতে পেরে।
উদ্বোধনী দিনের জুমাপূর্ব বয়ানে ইংরেজিতে বেহেশত সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। পরে আরবিতে খুতবা প্রদান করা হয়।
আইওয়ার ইসলামি সেন্টারের পরিচালক রামি আল টিবি নামাজের ইমামতি করেন। তিনি জুমাপূর্ব বয়ানে বলেন, ইসলামের দৃষ্টিতে বেহেশতে প্রবেশের জন্য শুধুমাত্র ঈমান যথেষ্ট নয়; ঈমানের সঙ্গে ন্যায়নিষ্ঠ ও খোদাভীরুতার প্রয়োজন রয়েছে।
মসজিদ নির্মাণ প্রসঙ্গে স্থানীয় কাউন্সিলর মার্কিন নাগরিক এরিন উগবারান বলেন, এই আমেরিকা কোনো একক ধর্মাবলম্বীর দেশ নয়। মুসলিমরা যেমন ধর্ম বিশ্বাস পোষণ করেন তেমনি আমেরিকার অন্য জনগণকে ভালোভাবে চেনেন, তাদের ভালোবাসেন। দেশের কল্যাণে কাজ করেন। এটা আমেরিকার জনগণকে মনে রাখতে হবে। মসজিদে কল্যাণের কথা বলা হয়, এটা তাদের অধিকার। আমরা তাতে সমর্থন করি।
তিনি আরও বলেন, আমেরিকার জনগণ যদি মুসলমানদের ভালোভাবে চেনে তাহলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৭
এমএইউ/