সুদানের রাজধানী খার্তুমে ০৭ জানুয়ারিতে শুরু হওয়া প্রতিযোগিতাটি চলবে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১৪ জানুয়ারি সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বাশির উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করবেন।
এবারের প্রতিযোগিতায় ৫৫টি দেশে ৮৩ জন প্রতিযোগী অংশ নেবেন। আন্তর্জাতিক এ প্রতিযোগিতার বাংলাদেশে প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নিচ্ছেন হাফেজ মো. জাকারিয়া।
মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) সকালে সুদানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন হাফেজ জাকারিয়া। তার সঙ্গে রয়েছেন, যাত্রাবাড়ী তাহফিজুল কোরআন ওয়াস সুন্নাহ মাদরাসার পরিচালক আলহাজ হাফেজ ক্বারী নাজমুল হাসান।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া প্রত্যেকেই কোরআনে কারিমের হাফেজ। প্রতিযোগিতায় তাদেরকে নির্ভুল ও সুন্দরভাবে কোরআন তেলাওয়াতের পাশাপাশি ২৩ নম্বর পারার তাফসির ও শাব্দিক ব্যাখ্যার আলোকে প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে হবে।
হাফেজ মো. জাকারিয়া হাফেজ মাওলানা ফয়জুল্লাহ ও মোসাম্মৎ জাহানারার একমাত্র ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার চর ইসলামপুরে।
গত ডিসেম্বরে (২০১৬) বাহরাইনের ১৪তম শেখ জুনাইদ আলম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার কেরাত ও হেফজ বিভাগে ৫৭ দেশের শতাধিক প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ মো. জাকারিয়া।
১৫ বছর বয়সী হাফেজ জাকারিয়া এর আগে ২০১৫ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক শহর দুবাইয়ে ১৯তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় ৮০টি দেশের প্রতিযোগীকে হারিয়ে তৃতীয় ও সুর ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান লাভ করেন।
হাফেজ জাকারিয়া ৭ বছর বয়স থেকে পবিত্র কোরআনে কারিম হেফজ করা শুরু করেন। বর্তমানে যাত্রাবাড়ীর বিবির বাগিচাস্থ আলহাজ হাফেজ ক্বারী নাজমুল হাসান কর্তৃক পরিচালিত তাহফিজুল কোরআন ওয়াস সুন্নাহ মাদরাসায় পড়াশোনা করছেন।
বাংলাদেশের প্রতিনিধি তার সুললিত কণ্ঠ এবং সুস্পষ্ট কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে এবারও দেশের নাম উজ্জ্বল করবেন- এই প্রত্যাশা রইলো।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৭
এমএইউ/