ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ইসলাম

থাইল্যান্ডের চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে হালাল গবেষণাকেন্দ্র

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৭
থাইল্যান্ডের চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে হালাল গবেষণাকেন্দ্র চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের হালাল রিসার্চ সেন্টারের গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে

২০১৬ সালে বিশ্বের শীর্ষ ২০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় রয়েছে থাইল্যান্ডের চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষা ব্যবস্থার দিক থেকে দীর্ঘ দিন ধরে দেশটির শীর্ষস্থানে রয়েছে।

চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয় (Chulalongkorn University) সেদেশের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৯০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

১৯৩৪ সাল পর্যন্ত এটি ছিলো থাইল্যান্ডের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়।  

থাইল্যান্ডের গণতান্ত্রিক বিপ্লব ঘটে ১৯৩২ সালে। গণতান্ত্রিক বিপ্লবের ২ বছর পর শিক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য টমাস বিশ্ববিদ্যালয় নামে আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।  

১৯৬০ থেকে ১৯৭০ সালে মধ্যে থাইল্যান্ডে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, কৃষি এবং অন্যান্য বিজ্ঞানের উন্নতির অনুভব করে দেশটি। এ জন্য সে দেশের অন্যান্য প্রদেশ ও শহরে আরও বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।  

চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ হচ্ছে- হালাল রিসার্চ সেন্টার। হালাল শিল্পের মৌলিক কাজগুলো উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈজ্ঞানিক ও গবেষণা কেন্দ্রে করা হয়।  
থাইল্যান্ডের হালাল বিষয়ক সেমিনারে উপস্থিত কয়েকজন
হালাল কেন্দ্রে খাদ্য বা পণ্যের স্ট্যান্ডার্ড মান নিয়ন্ত্রণ, হালাল ল্যাবরেটরি সার্ভিস, হালাল শিল্পের গবেষণা ও উন্নয়ন, হালাল পণ্যের বিষয়ে ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণ, হালাল খাদ্য নিশ্চিতকরণ, হালাল শিল্প শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সেবার বিষয়গুলো দেখভাল করে থাকে।

ইতোমধ্যে এই ল্যাবরেটরিকে মালয়েশিয়ার হালাল গবেষণাকেন্দ্র থাইল্যান্ডের এই হালাল বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানটিকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

বেশ কিছুদিন ধরেই মুসলিম পর্যটক টানতে হালাল হোটেলের কার্যক্রম শুরু করে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ থাইল্যান্ড। সাদা হাতির দেশে পর্যটন শিল্পের প্রসার এবং অর্থনীতির চাকাকে গতিশীল করার উদ্দেশ্যে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।  

এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত বছর শুধু মধ্যপ্রাচ্য থেকে ৬ লাখ ৫৮ হাজার পর্যটক থাইল্যান্ড ভ্রমণ করেছেন। এই বিশাল সংখ্যার মুসলিম ভ্রমণকারীদের স্বাচ্ছন্দ্যকর ও আরামদায়ক সেবার জন্য হালাল খাদ্যের কোনো বিকল্প নেই। আর এ কারণে এই গবেষণাকেন্দ্রে বেড়েছে কাজ ও গবেষণার গতি। সেই সঙ্গে জনপ্রিয় হচ্ছে গবেষণাকেন্দ্রটি।  

এই গবেষণাকেন্দ্রের উদ্যোগে গত মাসে থাইল্যান্ডে হালাল এসেম্বলি নামে বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা হালাল পণ্য ও খাদ্য গবেষক এবং অভিজ্ঞ ইসলামি স্কলাররা উপস্থিত ছিলেন।  

-ব্যাংকক পোস্ট অবলম্বনে

ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৭
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।