এরই ধারাবাহিকতায় তাবলিগের মুরব্বিদের তত্ত্বাবধানে চাঁদপুরে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হবে চাঁদপুর জেলা ইজতেমা। ইজতেমায় মুসল্লিদের থাকার জন্য প্যান্ডেল নির্মাণে স্বেচ্ছায় কাজ করছেন শ’ শ’ মানুষ
চাঁদপুর ইজতেমা শুরু হবে ৩০ নভেম্বর, শেষ হবে ২ ডিসেম্বর।
চাঁদপুর শহরের পুরাণ বাজার এমদাদিয়া মাদরাসা সংলগ্ন মেঘনা নদীর পাড়ে ইজতেমার প্যান্ডেলের কাজসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি দ্রুত এগিয়ে চলছে। প্রতিদিন গড়ে ৫-৮শ’ লোক স্বেচ্ছায় কাজ করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন পেশার লোকজন প্যান্ডেল নির্মাণের কাজে সহায়তা করছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন উপজেলার কলেজ, স্কুল ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও প্যান্ডেলের কাজে এগিয়ে এসেছেন। আমন্ত্রিত বিদেশী অতিথিদের থাকার জন্য আলাদা প্যান্ডেল নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া মুসল্লিদের অজু, গোসলের জন্য পর্যাপ্ত টয়লেট নির্মাণ করা হচ্ছে। মাঠে প্রবেশের রাস্তাগুলো প্রশস্ত করা বড় করতে হয়েছে।
আয়োজকরা জানান, টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার আদলে কাকরাইলের মুরুব্বিদের তত্ত্বাবধানে এই ইজতেমার আয়োজন চলছে। চাঁদপুরের মতো এ বছর দেশের ৩২টি জেলায় আলাদাভাবে জেলাভিত্তিক ইজতেমার আয়োজন করা হবে। ইতিমধ্যে বশে কয়েকটি জেলায় ইজতেমা সম্পন্নও হয়েছে।
চাঁদপুরে প্রথমবারের প্রথমবারের মতো ইজতেমার আয়োজন করায় জেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে।
ইজতেমায় চাঁদপুরের ৮ উপজেলাসহ আশেপাশের এলাকা থেকে আগত মুসল্লিদের জন্য প্যান্ডেল নির্মাণ করা হচ্ছে।
এ ছাড়া আগত মুসল্লিদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় তাবলিগের নিজস্ব সাথীদের পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন সংস্থা একযোগে করাজ করবে। চাঁদপুরের ইজতেমায় কমপক্ষে ৫-৬ লাখ মুসল্লির সমাবেশ ঘটবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৭
এমএইউ/