ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

দুই কারণে বেশিরভাগ কবরে আজাব হয়

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৮
দুই কারণে বেশিরভাগ কবরে আজাব হয় ছবি : প্রতীকী

আল্লাহর অবাধ্যতা করার কারণে মানুষ পরকালে শাস্তি ভোগ করবে। আর যারা আল্লাহর আনুগত্য করবে আল্লাহ তাদের চির সুখ-শান্তির নিকেতন জান্নাত দিয়ে ভূষিত করবেন। এটা একটা মৌলিক ও শাশ্বত কথা।

অনেক কারণে কবরের আজাব হওয়ার কথা হাদিসে এসেছে। এক হাদিসে দুইটি কারণের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

হাদিসে এসেছে, নবী করিম (সা.) একদিন কোথাও যাওয়ার সময় পথে সঙ্গীদের দুইটি কবর দেখিয়ে বলেন, এ দুইটি কবরে আজাব হচ্ছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এদের একজন পেশাব করে পবিত্র থাকত না এবং অপরজন চোগলখোরি (কুটনামি) করে বেড়াত। এরপর তিনি একটি খেজুরের ডাল ভেঙে দুই টুকরো করলেন এবং কবর দুইটির ওপর টুকরা দুইটি পুঁতে দিলেন। (বুখারি শরিফ)

হাদিসে রাসুল (সা.) আরো বলেন, যে দুইটি কারণে তাদের আজাব দেয়া হচ্ছে, তা থেকে মুক্ত থাকা তাদের জন্য কোনো কঠিন কিছু ছিল না। অন্যদিকে এই দুইটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং আল্লাহর কাছে গুরুতর অন্যায়। বিষয়টি খুব হালকা নজরে দেখার সুযোগ নেই।  

বস্তুত পবিত্রতা ঈমানের অংশ। মুমিনের জীবন সবসময়ই পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন থাকে এবং এ ক্ষেত্রে ‍মুমিন সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। এটা কঠিন কাজ নয়। পবিত্রতা অর্জনের ক্ষেত্রে উদাসীনতা একদম অনুচিত। এতে অবহেলার পরিণতি কতটা ভয়ঙ্কর ও কষ্টদায়ক, উপরোক্ত হাদিস থেকেই বোঝা যায়। তাই পবিত্রতার ব্যাপারে অবহেলা করা কোনোভাবেই উচিত নয়।

কুটনামি (পারস্পরিক দ্বন্দ্ব লাগানোর চেষ্টা) অত্যন্ত ঘৃণিত ও গোনাহের কাজ। এতে সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট হয়। হাদিসে এসেছে, চোগলখোর জান্নাতে যেতে পারবে না।

আল্লাহ আমাদের কবরের আজাব থেকে রক্ষা করুন।

ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৮
এমএমইউ/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।