ইসলামধর্ম গ্রহণকালে তার বয়স ছিল ১৮। এরপর তার অভিযাত্রা শুরু সম্মুখপানে।
কর্মজীবনে তিনি মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়েই যোগ দেন শিক্ষক হিসেবে। কিছুদিন হাদিস অনু ক্রমান্বয়ে হাদিস শাস্ত্রে অগাধ পাণ্ডিত্য ও ব্যুৎপত্তি লাভ করেন। শিক্ষকতাকালীন সময়ে হাদিসের মূল্যবান কিছু গ্রন্থও রচনা করেন তিনি।
মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা থেকে অবসর নেওয়ার পর ২০১৩ সালে তিনি রাসুল (সা.) এর মসজিদ ‘মসজিদের নববী’তে বিভিন্ন বিষয়ে পাঠদানের সুযোগ লাভ করেন। ধর্মীয় জ্ঞান চর্চার পরিমণ্ডলে এ দায়িত্ব অত্যন্ত সম্মানজনক ও মর্যাদাপূর্ণ।
এক সময়ের হিন্দু যুবক বঙ্কে লাল ও আজকের শায়খ জিয়াউর রহমান আজমি গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যবহ অনেক কাজ করেছেন। ‘আল জামিউল কামিল ফিল হাদিসিস সাহিহিস শামিল’ তার অন্যতম ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থগুলোর অন্যতম। অনেক বিজ্ঞ হাদিস বিশারদ ও মুসলিম পণ্ডিত বলেন, গত ১৪০০ বছরের ইতিহাসে এ কিতাবটিকে একমাত্র কিতাব বলা যায়, যেখানে কোনো ধরনের পুনরাবৃত্তি ছাড়া কেবল সহিহ হাদিসগুলোকেই স্থান দেওয়া হয়েছে। এ হাদিসগ্রন্থটিতে ১৬ হাজার হাদিস সংকলন করা হয়েছে। এতে শায়খ জিয়াউর রহমান আজমির ১৫ বছরের কর্মসাধনা ব্যয় করেছেন। ২০ খণ্ডের এ বৃহৎ কর্মযজ্ঞে তিনি ২০০টিরও বেশি হাদিসগ্রন্থের সহায়তা নিয়েছেন।
তার অন্যতম আরেকটি বৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে হিন্দি ভাষায় ‘ইসলামী বিশ্বকোষ’। এছাড়াও ‘কম্পারেটিভ স্টাডি অব জুদাইজম, ক্রিশ্চিয়ানিটি অ্যান্ড ইন্ডিয়ান রিলিজিওন্স’। কায়রোতে তার পিএইচডি অভিসন্দর্ভের বিষয় ছিল ‘দি জাজমেন্ট অফ দ্য প্রফেট’। ইসলাম গ্রহণের অভিজ্ঞতা নিয়ে খুবই সুখপাঠ্য ও মুগ্ধতা ছড়ানো আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ লিখেছেন ‘ফ্রম গঙ্গা টু জমজম’।
শায়খ জিয়াউর রহমান আজমির জন্ম (বা বঙ্কে লাল) ১৯৪৩ সালে। ভারতের উত্তর প্রদেশের আজমগড় জেলার বিলার্যগঞ্জ গ্রামে। বাড়ির পাশের হাকিম আইয়ুব নামের এক আলেমের সাহচর্যে তিনি ইসলামের সাম্য, সৌন্দর্য ও যুগোপযোগিতায় মুগ্ধ হন। এরপর দীর্ঘ গবেষণা ও পড়াশোনার পর ইসলাম গ্রহণের সিদ্ধান্তে উপনীত হন।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৯
এমএমইউ/