রাফসানের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিপুলাসার ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামে।
ইবনে তাইমিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক হাফেজ আবুল হাসান গণমাধ্যমকে জানান, রাফসান মাহমুদ ২০১৬ সালের শেষ দিকে নূরানী পদ্ধতিতে পড়ালেখা শুরু করে। ২০১৮ সালের নভেম্বরের আগে নাজেরা (কোরআন দেখে পড়ার যোগ্যতা) শেষ করে। এরপর নভেম্বরের ৪ তারিখে কোরআন শরিফ হেফজের (মুখস্থ) পাঠ আরম্ভ করে। কিন্তু বিস্ময়কর বিষয় হলো, মাত্র দুই দিনে সে পবিত্র কোরআনের ৩০তম পারাটি সম্পূর্ণ মুখস্থ করে শোনায়। আমরা মনে করেছিলাম, রাফসানের এই পারাটি আগে মুখস্থ ছিল। তাই সে দুই দিনেই পড়া শুনিয়ে দিতে পেরেছে। পরের দিন আমরা তাকে কোরআনের প্রথম পারা মুখস্থ করতে দেই। এবারও সে পুরো পারাটি মাত্র দুই দিনেই মুখস্থ করে শোনায়। এভাবে সে দুই দিনে এক পারা করে মুখস্থ করতে থাকে। ১০ পারা পর্যন্ত এভাবে চলতে থাকে।
তিনি আরো বলেন, রাফসানের এমন অভাবনীয় অবস্থা দেখে আমরা নিশ্চিত হই, সে অত্যন্ত তীক্ষ্ণ ধী-শক্তির অধিকারী। এরপর সে ১৪ দিনে কোরআনের ১১ পারা থেকে নিয়ে ২৫ পারা পর্যন্ত মুখস্থ করে এবং আর ৪ দিনে বাকি পারাগুলো মুখস্থ করে।
এভাবেই রাফসান মাত্র ৪৯ দিনে কোরআন শরিফের পুরো ৩০ পারা করেছে বলে জানান তার শিক্ষক। সে এখন পূর্ণাঙ্গ কোরআন শরিফ শিক্ষকদের পুনরায় মুখস্থ শোনাচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটির সহকারী প্রধান শিক্ষক আমিনুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, রাফসান দেশের বিস্ময় বালক। তার মেধাশক্তি অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি তুখোড়। আমরা তার জন্য দোয়া চাই।
এর আগে মাত্র ২৯ দিনে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিলেন পাকিস্তানি তরুণী জুয়াইরিয়া। এছাড়াও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, কিছুদিন আগে মাত্র ৬৫ দিনে কোরআনের হাফেজ হয়েছে ঝিনাইদহের শিশু আহমাদ তাইমিয়া।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৯
এমএমইউ