ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

ফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন ৭০, সর্বোচ্চ ১৯৮০ টাকা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০২ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৯
ফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন ৭০, সর্বোচ্চ ১৯৮০ টাকা প্রতীকী ছবি

ঢাকা: ১৪৪০ হিজরি সনের সাদাকাতুল ফিতর বা ফিতরা জনপ্রতি সর্বোচ্চ ১ হাজার ৯৮০ টাকা ও সর্বনিম্ন ৭০ টাকা নির্ধারণ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। গতবছর সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩১০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৭০ টাকা নির্ধারিত ছিল।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে বায়তুল মোকাররমে এক সভায় জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে ইসলামী ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক মুহম্মদ নিজাম উদ্দিন বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।

 

সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান।

সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, ইসলামী শরীয়াহ মতে- আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যব ইত্যাদি পণ্যগুলোর যে কোনো একটি দ্বারা ফিতরা প্রদান করা যায়।

আটা দ্বারা ফিতরা আদায় করলে অর্ধ সা’ বা ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ৭০ টাকা প্রদান করতে হবে। যব দ্বারা

আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ৫০০ টাকা, কিসমিস দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ১ হাজার ৩২০ টাকা, খেজুর দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ১ হাজার ৬৫০ টাকা ও পনির দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ১ হাজার ৯৮০ টাকা ফিতরা প্রদান করতে হবে।

দেশের সব বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, যব, খেজুর, কিসমিস ও পনিরের সর্বোচ্চ বাজার মূল্যের ভিত্তিতে এই ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব পণ্যসমূহের স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য রয়েছে। এজন্য স্থানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে বলে জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী, এসব পণ্যের যেকোনো একটি পণ্য বা এর বাজার মূল্য দ্বারা সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতে পারবেন।

সভায় বেফাকের মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুছ, ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আলমগীর রহমান, ঢাকা নেসারিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মুফতি কাফীলুদ্দীন সরকার, ফরিদাবাদ মাদ্রাসার ফাতওয়া বিভাগের পরিচালক মুফতি আবদুস সালাম, কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রধান মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. মাওলানা মুহাম্মদ আবদুস সালাম, দ্বীনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক আনিছুর রহমান সরকার, পরিচালক মো. আনিসুজ্জামান শিকদার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক ড. মাওলানা আবদুল জলীল, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মুহাদ্দিস মাওলানা ওয়ালীয়ুর রহমান খান ও মুফাসসির ড. মাওলানা আবু ছালেহ পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৯ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৯/আপডেট: ১২৫৩ ঘণ্টা
এমআইএইচ/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।