খ্রিস্টান গণতান্ত্রিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) পার্টির মনোনীত আচেন শহরের মেয়র মার্সেল ফিলিপ বলেন, মেয়র হিসেবে আমি অনেক খুশি, কারণ আমাদের শহরে একটি ‘মসজিদ চত্বর’ রয়েছে। তবে চত্বরটি নাম পরিবর্তন করা এতো সহজ ছিল না।
চত্বরটি আচেন শহরের ইউনুস ইমরাহ মসজিদের আওতাভুক্ত। ২১০০-বর্গ মিটার পরিব্যাপ্ত এই চত্বরের নতুন নাম উদযাপন অনুষ্ঠানে জার্মানির কোলোন শহরে নিয়োজিত তুরস্কের কনসুল জেনারেল সিহুন ইরসিয়েস উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে মসজিদটি সাদৃশ্য, একীকরণ, সহনশীলতা, ঐক্য ও সংহতির এক চমৎকার জায়গা। তাই কর্তৃপক্ষ চত্বরের নাম বদলের সিদ্ধান্ত নেয়।
ইরসিয়েস সংবাদামাধ্যমকে বলেন, যারা ভয় ও ঘৃণা ছড়ায় তাদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে আমাদের কণ্ঠস্বর উঁচু করা আবশ্যক। পাশাপাশি আমাদের বন্ধুত্ব ও সংহতি প্রকাশ করাও জরুরি।
ব্রিটেন ও ফ্রান্সের পর ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে এখন জার্মানি হচ্ছে ইসলামের সবচেয়ে উর্বর ভূমি। দেশটিতে ইসলামের প্রচার-প্রসার বেশ দ্রুততার সঙ্গে ঘটছে। মুসলমানদের সংখ্যা বেড়ে চলছে উল্লেখযোগ্য হারে।
প্রথম দিকে ১৯৬০ এর দশকে শ্রমবাজার স্থানান্তরের কারণে ও ১৯৭০ এর দশকে রাজনৈতিক অভিবাসীদের বিভিন্ন মাত্রায় আগমনের কারণে জার্মানিতে ইসলাম একটি দৃশ্যমান ধর্ম হয়ে ওঠে।
এরপর থেকে জার্মানিতে ইসলামের প্রচার-প্রসার বেশ দ্রুততার সঙ্গে ঘটছে। মুসলমানদের সংখ্যাও বেড়ে চলছে উল্লেখযোগ্য হারে। জার্মান টেলিভিশনের একটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০০৬ সাল থেকে দেশটিতে প্রতিবছর চার হাজার জার্মান নাগরিক ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হচ্ছেন।
সেন্ট্রাল ইন্টিলিজেন্স এজেন্সি কর্তৃক প্রকাশিত সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে জার্মানিতে মুসলমানদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৪.৪ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে যা প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ লাখের মতো।
এ ছাড়া আরেকটি জরিপে বলা হয়েছে, দেশের মোট জনসংখ্যার ৫ শতাংশের বেশি নাগরিক মুসলমান। গণনায় তা ৪.৩ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যায়। এদের প্রায় সবাই সুন্নি মুসলমান।
ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৯
এমএমইউ