ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

হজযাত্রীদের পরামর্শ দিতে সৌদি যাচ্ছেন ৫৫ আলেম

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৩ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৯
হজযাত্রীদের পরামর্শ দিতে সৌদি যাচ্ছেন ৫৫ আলেম ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশি হজযাত্রীদের হজবিষয়ক ধর্মীয় পরামর্শ দিতে সৌদি যাচ্ছেন ৫৫ আলেম। হাজিদের দিক-নির্দেশনা ও পরামর্শমূলক সেবা দিতে এবারই প্রথম বিশিষ্ট আলেম-উলামাদের নিয়ে একটি দল গঠন করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। হজযাত্রীদের প্যাকেজে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে তাদের রাষ্ট্রীয় খরচে হজে পাঠাচ্ছে সরকার। আগামী ৪ ও ৫ আগস্ট ফ্লাইট প্রাপ্তি সাপেক্ষে ওলামা-মাশায়েখদের দলটি সৌদি আরবে যাবেন। ২৩ আগস্ট তারা দেশে ফিরে আসবেন।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শিব্বির আহমদ উছমানি স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ওলামা-মাশায়েখদের হজ পালনের বিষয়টি জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় খরচে মনোনীত আলেমদের হজ সফর হবে; তবে কোরবানি নিজ খরচে করতে হবে।

মক্কা-মদিনায় তাদের ভ্রমণসূচি নির্ধারণ করবেন হজ কাউন্সিলর। নিজেদের সঙ্গে তারা (ব্যক্তিগত খরচে হলেও) স্ত্রী-সন্তানসহ যেতে পারবেন না।

সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের প্রতি ৪৫ জনের জন্য একজন করে হজগাইড নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এছাড়া বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের জন্য এজেন্সিগুলো নিজ উদ্যোগে গাইড নিয়োগ করে।

৫৫ জনের তালিকায় থাকা আলেমদের অধিকাংশই বড় বড় কওমি ও বিভিন্ন আলিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল। তালিকায় গোপালগঞ্জ জেলা থেকে ১১ জন স্থান পেয়েছেন। চট্টগ্রাম থেকে পেয়েছেন ৮ জন। তালিকায় কওমি মাদরাসার সরকারি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সংস্থা ‘আল-হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া’র একাধিক সদস্য রয়েছেন।  

তালিকায় থাকা আলেমরা হলেন-
মাওলানা আশরাফ আলী (কো-চেয়ারম্যান হাইয়াতুল উলইয়া), মাওলানা আবদুল হালিম বোখারি (প্রিন্সিপাল, পটিয়া মাদরাসা, চট্টগ্রাম), মুফতি রুহুল আমীন (প্রিন্সিপাল, গওহরডাঙ্গা মাদরাসা, গোপালগঞ্জ), মাওলানা জাফর আহমদ (প্রিন্সিপাল, ঢালকানগর মাদরাসা, ঢাকা), মাওলানা ইয়াকুব আলী খন্দকার (সুপারিনটেন্ডেন্ট, চমকপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা, কিশোরগঞ্জ), মাওলানা শাহ মোহাম্মদ তৈয়ব, মুহতামিম জিরি মাদরাসা, চট্টগ্রাম), মাওলানা আনাস মাদানী (আল্লামা শফির ছেলে ও হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষক), মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস (মহাসচিব, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া, ঢাকা), মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ (ইমাম, শোলাকিয়া ঈদগাহ, কিশোরগঞ্জ), মাওলানা সালাউদ্দিন নানুপুরী (প্রিন্সিপাল, জামিয়া ওবায়দিয়া নানুপুর, চট্টগ্রাম), মাওলানা মুসাদ্দিক বিল্লাহ আল মাদানী (চরমোনাই পীরের ভাই ও প্রিন্সিপাল, চরমোনাই আলীয়া মাদরাসা, বরিশাল), মাওলানা সৈয়দ মো. শরাফত আলী (প্রিন্সিপাল, শর্ষিনা আলিয়া মাদরাসা, পিরোজপুর), মুফতি দিলাওয়ার হোসাইন (প্রিন্সিপাল, আকবর কমপ্লেক্স মিরপুর, ঢাকা), মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ (মুহতামিম, শায়েখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, ঢাকা)।

তালিকায় আরও রয়েছেন- 
মাওলানা ইয়াহিয়া মাহমুদ (প্রিন্সিপাল, দারুল উলুম রামপুরা বনশ্রী, ঢাকা), মুফতি মোহাম্মদ আলী (মুহতামিম, আফতাবনগর মাদরাসা, ঢাকা) মুফতি মোহাম্মদ ইয়াহিয়া (প্রধান মুফতি, লালবাগ মাদরাসা, ঢাকা), মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ আল ফরিদী (মাওলানা মাহমুদুল হাসানের মেয়ের জামাই ও মুহাদ্দিস, জামিয়া মাদানিয়া যাত্রাবাড়ী, ঢাকা), মাওলানা শামসুল হুদা খান (মুহতামিম, হিলি মাদরাসা, দিনাজপুর), মুফতি সাইফুল ইসলাম (প্রিন্সিপাল, বড় কাটারা মাদরাসা ও মেয়ের জামাই মুফতি আমিনী রহ.) মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন রাজু (প্রিন্সিপাল, গহরপুর মাদরাসা সিলেট), মাওলানা সদরুদ্দীন মাকনুন (মাও. ফরিদ উদ্দিন মাসউদের ছেলে ও প্রিন্সিপাল, ইকরা বাংলাদেশ ঢাকা), মাওলানা মো. আবদুর রাজ্জাক (অধ্যক্ষ, মদিনাতুল উলুম কামিল মাদরাসা, ঢাকা), মাওলানা মোহাম্মদ ওসমান গনি (মুহাদ্দিস, দারুন্নাজাত কামিল মাদরাসা, ঢাকা) মাওলানা রেজাউল করিম (শিক্ষক, পটিয়া মাদরাসা, চট্টগ্রাম), মাওলানা আবুল কাশেম ফজলুল হক (উপাধ্যক্ষ, কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া কামিল মাদরাসা, মোহাম্মদপুর, ঢাকা), মাওলানা মোঃ নজরুল ইসলাম আল মারুফ (প্রিন্সিপাল, জামিয়া হোসাইনিয়া কামিল মাদরাসা, মহাখালী, ঢাকা), মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ (উপাধ্যক্ষ. সরকারি আলিয়া মাদরাসা, ঢাকা), মাওলানা শোয়াইব (শিক্ষক, জিরি মাদরাসা, চট্টগ্রাম)।

মাওলানা শওকত আলী কাসেমি (মুহতামিম, বাগিবাড়ি হাফিজিয়া মাদরাসা, নরসিংদী), মুফতি মিনহাজ উদ্দিন (ইমাম, চকবাজার শাহী মসজিদ, ঢাকা), মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম আলী (মুহতামিম, বাহিরদিয়া মাদরাসা, ফরিদপুর), মুফতি শামসুদ্দোহা (প্রিন্সিপাল, জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম, মৌলভীবাজার), মাওলানা মো. মুহিব্বুল হক (প্রিন্সিপাল জামিয়া দরগা সিলেট), মাওলানা সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দিন (ইমাম ও খতিব জমিয়াতুল ফালাহ চট্টগ্রাম), মাওলানা মোস্তাক আহমেদ (প্রিন্সিপাল, দারুল উলুম মাদরাসা খুলনা), মাওলানা মোহাম্মদ নোমান (প্রিন্সিপাল, দারুল উলুম মাদরাসা, কুমিল্লা), বিশিষ্ট বক্তা মাওলানা মীর হাবিবুর রহমান যুক্তিবাদী, মাওলানা সৈয়দ অহিদুজ্জামান (প্রিন্সিপাল, জামিয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া, মিরপুর-পল্লবী), মাওলানা উসামা আমিন (শিক্ষক, গওহরডাঙ্গা মাদরাসা, গোপালগঞ্জ), মাওলানা ওয়াসিউর রহমান (প্রিন্সিপাল, জামিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া চট্টগ্রাম), মাওলানা মোঃ মাসুম বিল্লাহ (ইমাম, লোহাগড়া কেন্দ্রীয় মসজিদ, নড়াইল), হাফেজ মাওলানা মুফতি আবু সালেহ মোহাম্মদ উল্লাহ (ইমাম, মিরপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ), মাওলানা মোঃ আব্দুর রহমান (ইমাম, গোপালগঞ্জ জেলা মারকাজ মসজিদ), মুফতি হাফিজুর রহমান (ইমাম, গোপালগঞ্জ কোর্ট মসজিদ), মুফতি আব্দুর রাজ্জাক কাজি (ইমাম, ঘাগর বন্দর মসজিদ, গোপালগঞ্জ), মাওলানা মোঃ মাহদী হাসান (মুহতামিম, কয়খা মাদরাসা গোপালগঞ্জ), মুফতি শুয়াইব ইবরাহিম (মুহাদ্দিস, ভবানীপুর মাদরাসা গোপালগঞ্জ)।

মুফতি আব্দুল্লাহ মোকাররম (মাও. আবদুর রহমান হাফেজ্জির ছেলে ও শিক্ষক মাখজানুল উলুম মাদরাসা, ময়মনসিংহ), মাওলানা আকতার হোসেন (খতিব, গাজীপুর কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদ), মাওলানা নাসির আহমাদ (মুহতামিম, লক্ষীপাশা মাদরাসা, নড়াইল), মাওলানা ইসরাফিল হোসেন (ইমাম, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ), মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস (ইমাম, ডাকবাংলো মসজিদ কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ), মাওলানা মোহাম্মদ জাকারিয়া (মুহতামিম, ছোট দক্ষিণপাড়া, হস্তপল্লী শামসুল উলুম মাদরাসা, গোপালগঞ্জ) ও মাওলানা আবুল কালাম (মুহতামিম, কাজুলিয়া মাদরাসা গোপালগঞ্জ)।

বাংলাদেশি হজযাত্রীদের জেদ্দা, মক্কা ও মদিনায় সহায়তা করতে আলেম-উলামাদের এই দল ছাড়াও সরকার বেশ কয়েকটি টিম সৌদিতে পাঠিয়েছে। সেগুলো হলো- হজ চিকিৎসক দল, হজ প্রশাসনিক দল, হজ কারিগরি দল ও হজ চিকিৎসক দলের সহায়ক দল। এছাড়াও সৌদির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও হজ-মৌসুমে সৌদি সরকার কর্তৃক দেশের হাজিদের গাইড হিসেবে সহযোগিতা করেন।

ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ২২১৩ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৯
এমএমইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।