শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ডাকারে মসজিদটির উদ্বোধন উপলক্ষে মসজিদ-প্রাঙ্গন লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। সাদা রঙের সুন্দর জামা-পোশাক পরে মুসল্লিরা মসজিদে আসেন।
উদ্বোধনের সময় মসজিদের দরজা খুলে দেওয়া হলে মুসল্লিরা মসজিদের দরজায় ভিড় জমিয়ে ফেলে। নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভিড় কমিয়ে পরিস্থিতি সুন্দর ও স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেন। মসজিদের ভেতর মানুষে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এছাড়া বাইরের খোলা প্রাঙ্গনেও শত শত মানুষ অবস্থান নেন।
ডাকারের বপ জেলায় মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। সরকারী অর্থায়ন ও সহযোগিতায় মোট ছয় হেক্টর (১৪ একর) জমির উপর মসজিদটির অবস্থান। এতে একসঙ্গে ৩০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। ভবিষ্যতে মসজিদ-কমপ্লেক্সে একটি ইসলামী ইনস্টিটিউট, হলরুম ও জাদুঘর যুক্ত করার কথা রয়েছে।
সেনেগালের প্রভাবশালী মুরিদিয়া সুফি তরিকার উদ্যোগে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। এই সুফি তরিকা উনিশ শতক থেকেই সেনেগালসহ পশ্চিম আফ্রিকায় ইসলাম প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
মসজিদটির অভ্যন্তরীণ অংশ সোনালি গম্বুজ ও কারারা মার্বেলে সজ্জ্বিত। সুবিশাল ঝাড়বাতি ও মরোক্কোর বিখ্যাত শিল্পীর সুনিপুণ হাতে অঙ্কিত বিভিন্ন সুন্দর সুন্দর পাতও বসানো হয়েছে। মোট পাঁচটি মিনার রয়েছে মসজিদটিতে, সবচেয়ে লম্বা মিনারটি ৭৮ মিটার (২৫৫ ফুট) লম্বা। মসজিদের ভেতরে পনেরো হাজার ও বাইরের আঙ্গিনায় আরও পনেরো হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
মসজিদ নির্মাণে ৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে। সরকারি অনুদানের পাশাপাশি ব্যক্তিগত দানও এই মসজিদটি নির্মাণে সহায়তা করেছে। নির্মাতাদের দাবি অনুযায়ী নবনির্মিত এই মসজিদটিই পশ্চিম আফ্রিকার সর্ববৃহৎ মসজিদ।
সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকে স্যাল এবং মুরিদিয়া তরিকার বর্তমান প্রধান মনতাখা এমবাকে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। লেখা ও প্রশ্ন পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯
এমএমইউ