ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

ধর্ষণ মামলায় কারাগারে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩১ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২৩
ধর্ষণ মামলায় কারাগারে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর শহীদুর রহমান খান

খুলনা: খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর শহীদুর রহমান খানকে ধর্ষণ মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৮ মে) বিকেলে খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩–এর বিচারক আবদুস সালাম খান এ নির্দেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের স্পেশাল পিপি ফরিদ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর শহীদুর রহমান খান উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন। সোমবার সেই জামিনের শেষ দিন ছিল। এদিন তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নারী কর্মচারীকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে মামলা হয়েছে।

এর আগে ১৩ মার্চ খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য (ভিসি) ড. শহীদুর রহমান খান ও বর্তমান রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ারের বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা থানায় ধর্ষণ মামালার এজাহার গ্রহণের আদেশ দেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা যায়, অভিযোগে ভুক্তভোগী নারী জানিয়েছেন, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী অফিসে আবাসিকভাবে থাকতেন সাবেক ভিসি ড. শহীদুর রহমান খান। সেখানে রেজিস্ট্রার ওই নারীকে খাবারের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব দেন। ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর খাবার পৌঁছে দিতে গেলে রেজিস্ট্রারের সহযোগিতায় ওই নারীকে ধর্ষণ করেন শহীদুর রহমান খান। এসময় কাউকে জানালে চাকরি না থাকার ভয় দেখানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন ওই নারী।

অভিযোগে বলা হয়, চাকরি এবং সামাজিক অবস্থানের ভয়ে এতদিন বিষয়টি জানাতে পারেননি তিনি।

এছাড়াও সাবেক এই উপাচার্যের বিরুদ্ধে স্ত্রী, ছেলে-মেয়েসহ আত্মীয়-স্বজনকে অবৈধভাবে খুলানা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২৩
এমআরএম/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।