ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ ৯ জনের কারাদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩
স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ ৯ জনের কারাদণ্ড

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়া সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক জাকির হোসেনসহ নয়জনের ১০ বছর কারাদণ্ড ও জরিমানা করেছেন আদালত।  জেলা সদর উপজেলার চৌড়হার এলাকায় একটি বাড়িতে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের হাত-পা ও মুখ বেঁধে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার, টাকাসহ মূল্যবান মালামাল ডাকাতি মামলায় এ রায় দেন বিচারক।

 

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম জনাকীর্ণ আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত তিনজনসহ অন্য আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া জেলা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট (পিপি) রফিকুল ইসলাম লালন।  

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- চৌড়হাস উপজেলা রোডের বাসিন্দা লালন শেখের ছেলে জাকির হোসেন (৪৬), একই এলাকার বাসিন্দা মোশারফ হোসেনের ছেলে উল্লাস (৪০), তৈমুর ইসলাম ওরফে বিপুল (৩৯), রফিকুল ইসলাম (পলাতক), মনির হোসেন ওরফে পিচ্চি মনির (বন্দুকযুদ্ধে নিহত), সাগর ওরফে জাহাঙ্গীর (পলাতক), আনার ওরফে আনোয়ার (বন্দুকযুদ্ধে নিহত), মধু শিকদার (পলাতক) ও সাত্তার ওরফে মশিউর রহমান (পলাতক)।

একই সঙ্গে এই মামলার চার্জশিটভুক্ত ও বেকসুর খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- সুমন, রবিউল ইসলাম, ছলেমান ওরফে রানা ও সোহেল রানা। তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীত প্রমাণ করতে পারেনি আদালতে।

আদালত সূত্র জানান, ২০০৯ সালের ২১ জুলাই রাত ১১টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মতি মিয়ার রেলগেট এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলামের বাড়িতে ঢুকে বাড়ির সব সদস্যদের জড়ো করে রশি ও ব্যবহার্য কাপড়চোপড় দিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে মারধর করে লকারের চাবি ছিনিয়ে নিয়ে প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণালংকার, টাকাসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায় অজ্ঞাত ডাকাতরা। ঘটনাস্থল থেকে ডাকাতি শেষে মালামাল নিয়ে চলে যাওয়ার পর বাড়ির লোকজন চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই পরিবারের গৃহকর্ত্রী বেগম ফরিদা ইসলাম পরদিন ২২ জুলাই বাদী হয়ে কুষ্টিয়া সদর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগ এনে মামলা করেন।  

মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ১২ জনের বিরুদ্ধে ডাকাতি ঘটনায় জড়িত অভিযোগ এনে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে তদন্তকারী কর্মকর্তা। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্য থেকে তিনজন দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে আদালতে বক্তব্য দেন।  

রাষ্ট্রপক্ষের পিপি রফিকুল ইসলাম লালন জানান, কুষ্টিয়া সদর থানার এই ডাকাতি মামলাটি মূলত আন্তঃজেলা ডাকাতদের সংঘটিত একটি ঘটনা ছিল। এ মামলায় অভিযুক্ত ১২ জনের মধ্যে নয়জনের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণ করতে রাষ্ট্রপক্ষ সক্ষম হওয়ায় তাদের প্রত্যেকের পৃথকভাবে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সাজাভোগের আদেশ দিয়েছেন আদালত।  

এদিকে কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মানব চাকী রায় বলেন, আমরা সাংগঠনিক ভাবেই এ মামলার রায়কে মোকাবিলা করতে উচ্চ আদালতে যাব।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।