ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সাতক্ষীরায় শিশুকে অপহরণ করে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০২৩
সাতক্ষীরায় শিশুকে অপহরণ করে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুচপুকুর এলাকায় রিয়াদ হোসেন নামে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে অপহরণের পর হত্যার অভিযোগে আশরাফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২ অক্টোবর) দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ চাঁদ মোহাম্মদ আব্দুল আলিম আল রাজী আসামি আশরাফুল ইসলামের অনুপস্থিতিতে এ আদেশ দেন।

 

দণ্ডপ্রাপ্ত আশরাফুল ইসলাম সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সুভাষিনী গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, সদর উপজেলার কুচপুকুর গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে রিয়াদ হোসেন কদমতলা কিন্ডার গার্টেনের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত। আশরাফুল ইসলাম মাঝে মাঝে জিয়াউর রহমানের বাড়িতে যাতায়াত করতেন। একপর্যায়ে তিনি জিয়াউর রহমানের মেয়েকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দেন। পারিবারিকভাবে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হলে আশরাফুল প্রতিশোধ নেওয়ার উপায় খুঁজতে থাকেন। ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর রিয়াদকে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে সদর উপজেলার বলাডাঙ্গা ফুটবল মাঠে ফেলে রেখে যান আশরাফুল। পরের দিন সকালে বলাডাঙ্গা ফুটবল মাঠ থেকে রিয়াদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন রাতে রিয়াদের বাবা জিয়াউর রহমান বাদী হয়ে আশরাফুল ইসলামকে আসামি করে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-৩৪।  

তদন্ত শেষে সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবির ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই আশরাফুল ইসলামকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দেন। পুলিশের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন ও ১৭জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক সোমবার আসামি আশরাফুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

সাতক্ষীরা আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ জানান, আদালত আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করছে।

প্রসঙ্গত, মামলা দায়েরের পর থেকে আসামি পলাতক রয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।