নাটোর: নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ ও তার দুই ভাইয়ের পিটুনিতে নিহত ছাত্রলীগ নেতা জামিউল আলীম জীবন (২২) হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলাটি নাটোর জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এ স্থানান্তরের আদেশ জারি হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর ২টার সময় নাটোরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অম্লান কুসুম জিষ্ণু উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের পিপি অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম ছাড়াও বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন মন্টু এবং বিবাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. লোকমান হোসেন বাদল শুনানিতে অংশ নেন।
নাটোর জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মামলার বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে নাটোর জেলার চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক মামলা মনিটরিং কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে গত ২৩ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ নলডাঙ্গা থানার মামলা নং-৭, তারিখ ২০/০৯/২০২২ জিআর মামলা নং-১৪৮/২২ সেশন নং-৩৫১/২৩ মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের সরকারি গেজেট প্রকাশ করে।
এদিকে মামলা সূত্রে জানা গেছে, নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে লাইভ করাকে কেন্দ্র করে ২০২২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর নলডাঙ্গা উপজেলার আমতলী বাজারের চার রাস্তার মোড়ে সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার সময় নলডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এস এম ফিরোজের ভাতিজা ছাত্রলীগ নেতা জামিউল আলীম জীবন ও তার বাবা ফরহাদ শাহকে চেয়ারম্যান আসাদ এবং তার দুই ভাই ফয়সাল শাহ ফটিক ও আলীম আল রাজী প্রকাশ্যে বেদম মারপিট করে গুরুতর আহত করেন।
এতে ফরহাদ শাহ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে প্রাণে বাঁচলেও চারদিন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ ওয়ার্ডে থাকার পর ২৩ সেপ্টেম্বর জীবনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। মেডিকেল, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও সুরতহাল রিপোর্ট থেকে জানা যায় মাথায় লাঠির আঘাতে জীবনের মৃত্যু হয়।
নিহত জীবনের চাচা এস এম ফিরোজ বাংলানিউজকে বলেন, মামলাটি বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করায় আমরা সন্তুষ্ট। আইনের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। আশাকরি আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২৪
এসএম