ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

আপনের দুই মালিকের মুক্তিতে বাধা নেই

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১৮
আপনের দুই মালিকের মুক্তিতে বাধা নেই আপন জুয়েলার্সের মালিক তিন ভাই দিলদার আহমেদ, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদ (ফাইল ফটো)

ঢাকা: মুদ্রা পাচারসহ নানা অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া তিন মামলায় দিলদার আহমেদ সেলিমসহ আপন জুয়েলার্সের তিন মালিককে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সোমবার (৮ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন।

আদালতে আপন মালিকদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

আইনজীবীরা জানান, পাসপোর্ট জমা রাখার শর্তে জুয়েলার্সের মালিক তিন ভাইয়ের জামিন বহাল রাখা হয়েছে। তবে, দুই ভাই গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদের জামিনের মুক্তি পেতে বাধা না থাকলেও দিলদার আহমেদের আরও দুই মামলা থাকায় তিনি আপাতত জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন না।

এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর রাজধানীর গুলশান, ধানমন্ডি, রমনা ও উত্তরা থানায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের করা পাঁচ মামলার মধ্যে তিন মামলায় দিলদার আহমেদসহ আপন জুয়েলার্সের মালিকদের জামিন দেন হাইকোর্ট। তবে বাকি দুই মামলা স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রাখা হয়।

এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পর হাইকোর্টের জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। সোমবার রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর হাইকোর্টের জামিন বহাল থাকলো বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ডেকে নিয়ে দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় গত মে মাসে গ্রেফতার হন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদারের ছেলে সাফাত আহমেদ।

বর্তমানে কারাগারে থাকা সাফাতসহ তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এরপরই আপন জুয়েলার্সের ‘অবৈধ লেনদেন’ এর খোঁজে তদন্তে নামে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর।

গত বছরের মে মাসের শেষ দিকে আপন জুয়েলার্সের বিভিন্ন শোরুম থেকে ১৫ দশমিক ৩ মণ সোনা এবং ৭ হাজার ৩৬৯টি হীরার অলঙ্কার জব্দ করে তা বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠায় শুল্ক গোয়েন্দা।

এ বিষয়ে অনুসন্ধান শেষে গত ১২ আগস্ট আপন জুয়েলার্সের মালিক তিন ভাই দিলদার, গুলজার ও আজাদ আহমেদের বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে গুলশান, ধানমন্ডি, রমনা ও উত্তরা থানায় পাঁচটি মামলা করা হয়।

দুই মামলায় গত বছরের ২২ আগস্ট তিনভাই হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। এরপর বিচারিক আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় গত ২৩ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

পরদিন আত্মসমর্পণ করলে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে পাঁচ মামলায় জামিন আবেদন করেন আপন জুয়েলার্সের মালিক তিন ভাই।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৮
ইএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।