এছাড়া ২০১৯ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২৬ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাসভবনে অনুষ্ঠিত ৪৯৭তম সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া তিন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।
এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বুধবার বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রাবির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান।
নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ওই তিন শিক্ষক হলেন শামসুন্নাহার, মুখতার হোসেন ও রেজভী আহমেদ ভুঁইয়া।
পরে জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, ২০১৬ সালের নভেম্বরে ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের তিনটি শূন্য পদের বিপরীতে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। কিন্তু ওই বিজ্ঞপ্তিতে পরে আর শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। এর মধ্যে ২০১৯ সালের জুলাইতে নতুন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। কিন্তু প্ল্যানিং কমিটিকে না জানিয়েই প্রভাষক পদে আবেদনের জন্য যোগ্যতা শিথিল করা হয়।
এজন্য ওই বিভাগের শিক্ষক ও প্ল্যানিং কমিটির সদস্য অধ্যাপক মু. আলী আসগর ২০১৯ সালের দেওয়া বিজ্ঞপ্তির বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। আদালত রুল জারি করেন। এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় ২৬ জানুয়ারি ৪৯৭তম সিন্ডিকেট সভায় নতুন বিজ্ঞপ্তির আলোকে তিন শিক্ষককে নিয়োগ দেন।
বুধবার দেওয়া রায়ে হাইকোর্ট তিন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করেছেন বলে জানিয়ে জ্যোর্তিময় বুড়য়া বলেন, ২০১৯ সালের দেওয়া নতুন বিজ্ঞপ্তি অবৈধ ঘোষণা করেছেন। একইসঙ্গে ২০১৬ সালের বিজ্ঞপ্তির আলোকে রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২০
ইএস/এএ