ঢাকা, বুধবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০২ জিলকদ ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বিএনপি নেতা মীর নাছির কারাগারে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:৩৮, নভেম্বর ৮, ২০২০
বিএনপি নেতা মীর নাছির কারাগারে মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন

ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ১৩ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রোববার (০৮ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এ তিনি আত্মসমর্পণ করেন।

এরপর বিচারক এসএম রুহুল ইমরান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

একই মামলায় তিন বছর দণ্ডপ্রাপ্ত তার ছেলে ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন গত ২৭ অক্টোবর একই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।  তাকেও কারাগারে পাঠানো হয়, বর্তামানে তিনি উচ্চ আদালতের নির্দেশে জামিনে মুক্ত আছেন।

গত বছর ১৯ নভেম্বর দুর্নীতির মামলায় বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনকে বিচারিক আদালতে দুটি অভিযোগে দেওয়া ১০ ও ৩ বছর এবং তার ছেলে ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে তিন বছরের কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে তাদের করা আপিল খারিজ করে বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন।

রায় বিশেষ জজ আদালত ঢাকা-২ যে দিন পাবেন সেদিন থেকে পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে আত্মসমর্পণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী মীর নাছির ও তার ছেলে মীর হেলাল বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন।

২০০৭ সালের ৬ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মীর নাছির ও তার ছেলে মীর হেলালের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এ মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ একই বছরের ৪ জুলাই এক রায়ে মীর নাছির উদ্দিনকে আলাদা ধারায় তিন বছর ও ১০ বছরের দণ্ড দেন। একইসঙ্গে ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে দুই বছরের দণ্ড দেন।

এছাড়া তার ছেলে মীর হেলালকে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকার অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক মাসের দণ্ড দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আলাদা দু’টি আপিল করেন। হাইকোর্ট ২০১০ সালের ১০ আগস্ট মীর নাছিরের এবং একই বছরের ২ আগস্ট মীর হেলালের সাজা বাতিল করে রায় দেন।

হাইকোর্টের ওই রায় বাতিল চেয়ে আপিল আবেদন করে দুদক। ২০১৪ সালের ৪ জুলাই দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে রায় দেন আপিল বিভাগ। রায়ে মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ও তার ছেলে ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে দুর্নীতি মামলায় খালাস দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করেন। একইসঙ্গে মামলাটির আপিল আবেদন পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়।

সে অনুসারে ওই আপিল দুটির পুনরায় শুনানি হয়ে নিম্ন আদালতের দণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২০
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।