ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

রেনু হত্যা: এক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০২০
রেনু হত্যা: এক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

ঢাকা: ছেলেধরা সন্দেহে রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় স্কুলের বাইরে তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দাখিল করা অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। একইসঙ্গে মামলায় মহিউদ্দিন নামে পলাতক এক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

বুধবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামনুর রশীদ এ আদেশ দেন।  

গত ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আব্দুল হক ঢাকার সিএমএম আদালতে মোট ১৫ আসামির বিরুদ্ধে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে একদফা পিছিয়ে অভিযোগপত্রের গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ে শুনানির জন্য ২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।

মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা, রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন, মো. শাহিন, বাচ্চু মিয়া, মো. বাপ্পি, মুরাদ মিয়া, সোহেল রানা, আসাদুল ইসলাম, বেল্লাল মোল্লা, মো. রাজু ও মহিন উদ্দিন।

আসামিদের মধ্যে ওয়াসিম, হৃদয় ও রিয়া বেগম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আসামি মহিন উদ্দিন পলাতক। আর রিয়া বেগম, বাচ্চু মিয়া, শাহীন, মুরাদ ও বাপ্পি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন।

অপরদিকে আলিফ, মারুফ, সুমন ও আকলিমা এ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ না পাওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা তাদের অব্যাহতির আবেদন করেছেন। আদালত এসব আসামিকে অব্যাহতির আদেশ দেন।

গত ২০ জুলাই সকালে ছেলেধরা সন্দেহে উত্তর বাড্ডা সরকা‌রি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে তাসলিমা বেগম রেনুকে বেধড়ক পেটানো হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ওইদিন বাড্ডা থানায় ৪০০/৫০০ জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিহত তাসলিমার ভাগ্নে নাসির উদ্দিন একটি হত্যা মামলা করেন।

রেনু হত্যা মামলাটি তদন্ত করছিলেন বাড্ডা থানার ইন্সপেক্টর আব্দুর রাজ্জাক। পরে গত বছর ন‌ভেম্বরে মামলা‌টির তদন্তভার গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) দেওয়া হয়। তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ১০ মাসের মধ্যে অভিযোগপত্র দিল সংস্থাটি।

নিহত রেনুর স্বজনদের দাবি, মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করাবে বলে খোঁজ নিতে বাড্ডার একটি স্কুলে গিয়েছিলেন রেনু এবং সেখানে গণপিটুনির শিকার হন তিনি। এ ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে তখন আটকও করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

নিহত তাসলিমার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে। মহাখালীতে চার বছরের মেয়ে তুবা ও মাকে নিয়ে থাকতেন তাসলিমা। দুই বছর আগে স্বামীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তাহসিন নামে ১১ বছরের এক ছেলেও আছে নিহত তাসলিমার।

বালাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২০
‌কেআই/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।