ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

সিনহা হত্যায় সাক্ষ্য দিলেন দুই বিচারক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২১
সিনহা হত্যায় সাক্ষ্য দিলেন দুই বিচারক

কক্সবাজার: অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার ষষ্ঠ দফায় বুধবার (২৭ অক্টোবর) সাক্ষ্যগ্রহণ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় শেষ হয়েছে।

এদিন কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ এবং সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন সাক্ষ্য দেন।

সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এ কার্যক্রম চলে। এ দুই বিচারকসহ এখন পর্যন্ত এ মামলায় মোট ৫৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।

এ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ১৫, ১৬ ও ১৭ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।  

বুধবার আদালতের বিচারিক কার্যক্রমের শুরুতে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ তার জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, সিনহা মামলার নয়জন আসামি তার আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।

স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার আগে সব আসামিকে তিন ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছিল। তারপর তারা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।  

একই ধরনের সাক্ষ্য দেন আরেক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। জবানবন্দিতে তিনি জানান, সিনহা হত্যা মামলার তিনজন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেছিলেন তিনি। তারাও তিন ঘণ্টা সময় নিয়ে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।  

আদালতের কার্যক্রম শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম। তিনি জানান, মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ আগামী ১৫, ১৬ ও ১৭ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।  

অপর দিকে আসামি বরখাস্ত ওসি প্রদীপের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত জানিয়েছেন, এ মামলার ১২ জন আসামিকেই চাপে ফেলে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিয়ে গিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিয়েছেন। তারা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। তাই তিনি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেছেন।

তিনি জানান তদন্তকারী সংস্থার পক্ষে আসামি ওসি প্রদীপকেও মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে চাপ দিয়েছিলেন, কিন্তু ওসি প্রদীপ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। কারণ তিনি সিনহা হত্যা মামলায় জড়িত ছিলেন না।  

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় ওসি প্রদীপসহ এ মামলার ১৫ জন আসামিকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আদালতে নিয়ে আসা হয়।  

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম আরও জানান, বুধবার সিনহা হত্যা মামলায় সাক্ষীর তালিকায় কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ এবং সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ছাড়াও আরও চারজন সাক্ষীকে উপস্থাপন করা হলেও সময়ের অভাবে দুই বিচারক ছাড়া অন্যদের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্ভব হয়নি। আগামী ধার্য তারিখে তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।  

গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২১
এসবি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।