রূপচর্চার রুটিনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদানটি হলো ‘নিম’। স্বাস্থ্যগত গুণাগুণের পাশাপাশি নিম ত্বক এবং চুলের যত্নে অপরিহার্য।
ত্বকের ইনফেকশন দূর করে: নিম পাতায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাংগাল এবং অ্যান্টিভাইরাল উপাদান থাকায় এটি ত্বকের ইনফেকশন সারাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর জন্য কয়েকটি নিম পাতা নরম হওয়া পর্যন্ত সেদ্ধ করতে হবে। পানি ছেঁকে গোসলের পানির সঙ্গে মিশিয়ে ফেলুন। প্রতিদিন এ পানিতে গোসল করলে ত্বকের ইনফেকশন ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে।
ব্রণ দূর করে: ত্বকের সিবাকাস গ্রন্থিতে অতিরিক্ত এবং ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া থেকে ব্রণের সৃষ্টি হয়। নিমপাতা এগুলো সারিয়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিমপাতা সেদ্ধ করে সে পানিতে একটি তুলার বল ডুবিয়ে পুরো মুখটা মুছে ফেলুন। আপনি মুখের অতিরিক্ত তৈলাক্তভাব কমাতে চাইলে শশা-নিমের ফেসপ্যাক কিংবা নিম-টক দইয়ের প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
টোনার হিসেবে: প্রত্যহ ব্যবহার করলে নিম বলিরেখা এবং মুখের দাগ দূর করতে বেশ কার্যকরী। এটি মুখের কালচে ভাবও কমিয়ে আনে। ছেঁকে নেওয়া নিম পাতার পানি ব্রণের দাগ হালকা করে ত্বককে সুন্দর করতে সাহায্য করে। এর জন্য নিমপাতা সেদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিন। ঠাণ্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন এবং প্রতি রাতে মুখের ত্বকে লাগান। তৈলাক্ত ত্বক হলে এর সঙ্গে গোলাপ জল মেশাতে পারেন। পরের দিন সুন্দরভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
শুষ্ক ত্বকের যত্নে: এটি ত্বককে নরম ও কোমল করে ত্বককে সুস্থ রাখে। অল্প পরিমাণ নিমপাতার গুঁড়ো নিয়ে এতে কয়েক ফোঁটা জলপাই তেল যোগ করুন। এটি পুরো মুখে ভালোমতো লাগান এবং কিছুক্ষণ রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একদিন বা দু’দিন এ ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন।
ব্ল্যাকহেড এবং মুখের গর্ত কমাতে: নিম মুখের ব্ল্যাকহেড, হোয়াইটহেড এবং বড় রোমকূপের সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে আপনাকে নিম পাতা গুঁড়োর সঙ্গে কমলালেবু খোসার গুঁড়ো মেশাতে হবে। দুই ধরনের গুঁড়ো মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে এর সঙ্গে অল্প মধু, দুধ এবং টক দই মেশান। সপ্তাহে অন্তত তিনবার ব্যবহার করুন ভালো ফলাফলের জন্যে। আপনার শুধু ব্ল্যাকহেডের সমস্যা থাকলে আক্রান্ত স্থানে নিম তেল মালিশ করুন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২৩
এএটি