ছোট সোনামণির দাঁত নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরেননি এমন বাবা-মা খুব কমই আছেন। প্রায়ই আমাদের শিশুদের দুধ দাঁত নিয়ে অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়।
শিশুর মুখে যখন প্রথম দাঁত আসে তখন শিশুরা হাতের কাছে যা পায় তাই কামড়ে দিতে চায়। এ সময় থেকেই দাঁত ব্রাশ করে দিতে হবে। শিশুদের ছোট দাঁতব্রাশ দিয়ে টুথপেস্ট ছাড়াই শুধু পানিতে ভিজিয়ে আলতো করে দাঁতগুলো পরিষ্কার করে দিতে হবে। শিশুরা যেহেতু মায়ের বুকের দুধ পান করে, তাই দাঁতে এবং মাড়িতে যেন দুধের সর বা ময়লা লেগে না থাকে তাই দাঁতের পাশাপাশি মাড়ির অংশ পাতলা সুতি কাপড় বা গজ ভিজিয়ে মুছে দিতে হবে।
শিশুর বয়স এক বছর ছয় মাস হলে থুথু ফেলা বা কুলি করা শেখানো শুরু করাতে হবে এবং একটি চালের দানার পরিমাণ টুথপেস্ট ব্রাশে লাগিয়ে আস্তে আস্তে ব্রাশ করে দিতে হবে। এ সময় শিশুদের উপযোগী ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট দেওয়া যেতে পারে।
শিশুর বয়স ২-৫ বছরের মধ্যে টুথপেস্টের পরিমাণ বাড়িয়ে মটরদানা সমান টুথপেস্ট দেওয়া যেতে পারে। শিশুদের জন্য ছোট মাথার নরম ব্রিসল বা লোমের টুথব্রাশ উপযোগী। বাজারে ৫ বছর এবং ৫ থেকে ১২ বছরের আলাদা সাইজের ব্রাশ পাওয়া যায়। শিশুদের দাঁত অবশ্যই দুইবার ব্রাশ করা উচিত। রাতে ঠিক ঘুমানোর আগে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন ব্রাশ করার পর অন্য কোনো খাবার সে না খায় এবং সকালে নাস্তার পর।
শিশুদের দুধদাঁতগুলোর মাঝে খাবার খুব সহজে আটকে যায় যা সাধারণ ব্রাশ করে পরিষ্কার হয় না। বরং এই খাবারগুলো জমে থাকতে থাকতে গর্ত তৈরি করে। তাই দুই দাঁতের মাঝে আটকে থাকা খাবার নিয়মিত ফ্লসিং করতে হবে।
শিশুর দাঁতে কোনো সমস্যা হলেই ডেন্টিস্টের পরামর্শ নিন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২৩
এএটি