জন্মের পর মা শিশুকে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম পাড়ান। নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করে দেন।
এক্সপার্টরা বলেন, শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য রাতে পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। সঙ্গে ভালো খাবার ও ব্যায়াম জরুরি। আবার যারা রাতে ঘুমাতে পারে না, তারা কম ঘুমায় বলেই মোটা হয়। এজন্য অামেরিকান একাডেমি অব স্লিপ মেডিসিনের একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল শিশুদের প্রয়োজনীয় ঘুমের গাইডলাইন দিয়েছে। যার নির্দেশনায় রয়েছে অামেরিকান একাডেমি অব পেডিয়াট্রিকস। গাইডলাইনটিতে একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক –
শিশুর বয়স : সময়
• ৪ থেকে ১২ মাস – ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা।
• ১ থেকে ২ বছর – ১১ থেকে ১৪ ঘণ্টা।
• ৩ থেকে ৫ বছর – ১০ থেকে ১৩ ঘণ্টা।
• ৬ থেকে ১২ বছর – ৯ থেকে ১২ ঘণ্টা।
• ১৩ থেকে ১৮ বছর – ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হলে শিশুরা সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়ে। তাদের মস্তিষ্ক সচেতন থাকে ও এরা বদমেজাজী কম হয়। পর্যাপ্ত ঘুমে মনোযোগ ও আগ্রহ বাড়ে। ভালো ঘুম আচরণ, শেখার ক্ষমতা ও স্বাস্থ্য উন্নত করে। অন্যদিকে কম ঘুম হলে ছোটবেলা থেকে বাড়তে থাকে স্থূলতা, ডায়াবেটিস ও চাইল্ডহুড ডিপ্রেশনের ঝুঁকি। ঘুমের অভাবে টিনএজারদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা তৈরি হয়।
স্বাস্থ্যের ওপর বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার প্রমাণের পর্যালোচনা সাপেক্ষে ঘুমের সময়কালের এ প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২৩
এএটি