দাঁতে এনামেল নামক এক প্রকার উপাদান থাকে, যা দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই উপাদানটি ক্ষয়ে গেলে দাঁতের ভেতরে থাকা স্নায়ুগুলি উন্মুক্ত হয়ে যায়।
১। বিশেষ ধরনের মাজন: দাঁতের এই সমস্যা নিরসনে এক ধরনের বিশেষ দাঁতের মাজন পাওয়া যায়, একে ডিসেনসিটাইজিং টুথপেস্ট বলে। এই ধরনের মাজনে কিছু বিশেষ উপাদান থাকে, যা উন্মুক্ত স্নায়ুমুখগুলো ঢাকতে সহায়তা করে। পটাশিয়াম নাইট্রেট নামক একটি যৌগ এই কাজে অত্যন্ত উপযোগী। পাশাপাশি দাঁত মাজার ব্রাশটি নরম হলেও এই সমস্যায় কিছুটা আরাম মিলতে পারে।
২। লবণপানি: লবণ ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। জমতে দেয় না ব্যাকটেরিয়াও। প্রতিদিন অন্তত দুইবার কুসুম গরম লবণপানি দিয়ে কুলকুচি করলে দাঁত শিরশির করা থেকে আরাম মিলতে পারে। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে আধা চামচ লবণ মিশিয়ে অন্তত ৩০ সেকেন্ড সেই মুখে রাখতে হবে।
৩। হলুদ: এক টেবিল চামচ হলুদ, আধা চামচ সরিষার তেল ও আধা চামচ লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে সেই মিশ্রণ দাঁতে লাগালে কমতে পারে দাঁত শিরশির করার সমস্যা। হলুদে থাকে কারকিউমিন নামক একটি উপাদান। এই উপাদানটি জীবাণুনাশক ও ব্যথানাশক হিসেবে বেশ কার্যকর। প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও এর ব্যবহার রয়েছে।
৪। ভ্যানিলা নির্যাস: ভ্যানিলা নির্যাসও ব্যথানাশক হিসেবে বেশ কার্যকর। বিশেষ করে শিশুদের দুধের দাঁত পড়ে গেলে ও নতুন দাঁত ওঠার সময় ব্যথা কমাতে এই ভ্যানিলা নির্যাস ব্যবহার করা হয়। চাইলে বড়রাও ব্যবহার করতে পারেন। এক টুকরো তুলোতে ভ্যানিলা নির্যাস নিয়ে কয়েক মিনিট দাঁতের গোড়ায় চেপে রাখলেই কমতে পারে সমস্যা।
৫। ক্যাপসিকাম: ব্যথা কমাতে কাজে আসতে পারে ক্যাপসিকাম। শুনতে অবাক লাগলেও ক্যাপসিকাম বা বেল পেপারে থাকে ক্যাপসাইসিন নামক একটি উপাদান, যা ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। ব্যবহার করার সময়ে মুখ জ্বালা করলেও ধীরে ধীরে এটি দাঁতের সেনসিটিভিটির সমস্যা কমিয়ে আনতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪
এসআইএ