বর্তমান ফ্যাশনের অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে হাই হিল। ফ্যাশন সচেতন নারীদের কালেকশনে থাকে উঁচু উঁচু বাহারি ডিজাইনের হিলের জুতা।
হয়তো আপনি জানেন না তিন মিনিটের জন্য হাই হিল পরলেও ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি বাড়ে। কারণ উঁচু হিল পরলে গোড়ালির ওপর চাপ পড়ে। এর কারণে পা মোচকে যেতে পারে এবং পড়ে গিয়ে স্ট্রেস ফ্র্যাকচার হতে পারে। যা খুবই যন্ত্রণাদায়ক একটি বিষয়। হাই হিল পরলে পায়ের জয়েন্টগুলোতে চাপ পড়ে। আস্তে আস্তে এই সমস্যা আর্থ্রাইটিসে পরিণত হতে পারে।
হাই হিল পরলে পায়ের কাফের পেশি ছোট হয়ে যায়। এতে কাফ ভালোভাবে প্রসারিত হয় না এবং মাঝেমধ্যে রক্তসঞ্চালন ব্যাহত হয় ফলে কাফ ফুলে যায় এবং তীব্র ব্যথা করে।
পুরো শরীরের ভর যেহেতু পায়ের ওপর পরে তাই হাই হিল পরলে অসুবিধা হয় তা তো জানলেন। তবে জানেন কি এতে মেরুদণ্ডেরও ক্ষতি হয়?
বিশেষজ্ঞদের মতে, হাই হিল পরার চাপ সরাসরি মেরুদণ্ডের ওপর না পড়লেও এর পরোক্ষ প্রভাবের জেরে মেরুদণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ক্ষতির পরিমাণ মাত্রা ছাড়লে মেরুদণ্ডের ব্যথা হতে পারে।
হাই হিল পরার কারণে অনেক সময় রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয়। স্বাভাবিকভাবে শিরার ওপর চাপ পড়ে ও শিরা ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
হাই হিল পরার কারণে বাড়তে পারে হাঁটুর ব্যথাও। সারাদিন হিল পরলে একটা সময়ের পর হাঁটুর ব্যথা বাড়তে পারে এবং তা অনেক সময় মাত্রা ছাড়ায়। শুধু তাই-ই নয় হাঁটুর ব্যথার পাশাপাশি কোমরেও অসহ্য ব্যথা হতে পারে।
এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে হিল পরার অভ্যাস ছাড়ুন। আর যদি একান্তই পরতে চান তাহলে কম সময়ের জন্য পরুন। দীর্ঘক্ষণের জন্য নয়। সব সময় হিল না পরাই ভালো। যদি পরতেই হয় তাহলে একের অর্ধেক বা দুই ইঞ্চির বেশি হিল পরা ঠিক নয়।
হাই হিল পরার আগে ৩০ সেকেন্ড ও খোলার পরে ৩০ সেকেন্ড মেঝেতে পা টান করে বসে আলতো করে পায়ের আঙ্গুল একে একে সামনে-পেছনে নিয়ে পাঁচবার ব্যায়াম করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২৪
এএটি