নিয়ম মেনে রোজা পালন করলে সাধারণত সমস্যা হয় না। তার পরও কিছু সমস্যা হতে পারে।
কেন বুক জ্বলে:
আমরা জানি, পাকস্থলীতে সব সময় এসিড থাকে। এতে খাদ্য হজম হয় এবং খাদ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়া মারা যায়। কিন্তু পাকস্থলীর গাত্রে থাকা বিশেষ পিচ্ছিল আবরণের জন্য এসিডের কারণে পাকস্থলীর ক্ষতি করতে পারেনা। তবে কোনো কারণে প্রয়োজনের অতিরিক্ত এসিড তৈরি হলে বা পাকস্থলীতে খাবার না থাকার সময় এসিড নিঃসরণ হলে অথবা পাকস্থলী থেকে এসিড ইসোফেগাস বা খাদ্যনালীর অংশে চলে এলে বুক জ্বলে। রোজার সময় এই হার্ট বার্ন বা বুকজ্বলা সমস্যাটি অনেকের হয়।
সাধারণত রোজা রাখলে এসিড কম তৈরি হওয়ার কথা, কিন্তু ক্ষুধা পেলে ও খাবারের কথা চিন্তা করার কারণে কারো কারো এসিড নিঃসরণ বেড়ে যায়। তাঁদের হার্ট বার্ন বা বুকজ্বলা সমস্যা বেশি হয়।
নিজেই করি সমাধান:
এ সমস্যায় অ্যান্টাসিড, রেনিটিডিন, ওমিপ্রাজল ও ইসোমিপ্রাজল ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। সেহরি খাওয়ার সময় এ-জাতীয় ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। তবে ইদানীং ইসোমোপ্রাজল জাতীয় ওষুধ বেশি ব্যবহৃত হয়। শুধুমাত্র সেহেরিতে একবার খেলে ইসোমোপ্রাজল দিবে বুকজ্বলা থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত নিরাপত্তা।
তবে ওষুধ খেয়ে হার্ট বার্ন দূর করার চেয়ে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে করা বেশি ভালো। পরিহার করতে হবে তৈলাক্ত, ভাজা পোড়া, বাসি ও অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার।
পরিবর্তিত জীবনাচার:
যাঁদের টক ঢেঁকুর আসে, বুক জ্বলে, তাঁরা শোয়ার সময় একটু উঁচু বালিশ ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৪
এমজে