রোজা রাখতে গিয়ে অনেকে পানিশূন্যতা, বুকজ্বলা কিংবা মাথা ব্যথায় ভুগে থাকেন। এজন্য নিচের কিছু নিয়ম মেনে চলা যেতে পারে।
আপনাকে যা পরিহার করতে হবে:
বেশি ভাজাপোড়া খাবার। এগুলো দেহে বদহজম, বুক জ্বালাপোড়া অথবা ওজন বাড়াতে কাজ করে। যেসব খাবারে অতিরিক্ত চিনি থাকে। সাহরি ও ইফতারের সময় অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ। অতিরিক্ত চা ও কফি। এগুলো অতিরিক্ত প্রস্রাবের মাধ্যমে দেহে পানিস্বল্পতার সৃষ্টি করে, যাতে দেহ দুর্বল হয়।
যা খেয়াল রাখবেন
জটিল ধরনের কর্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খান; যেমন: চাল, গম, মসুর, শাকসবজি সাহরির সময় গ্রহণ করতে হবে। কারণ এ খাবারগুলো পাকস্থলীতে পরিপাক হতে অনেকক্ষণ সময় লাগে।
ইফতারের সময় এমন খাবার খেতে হবে, যা অতি সহজে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়ায়। দীর্ঘক্ষণ ধরে রোজা রাখার কারণে শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যায়। ফলে শরীরে হাইপোগ্লাইসেমিয়া দেখা দিতে পারে। এতে অনেকের মস্তিষ্কে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যায় এবং শেষ বিকেলের দিকে মাথাঘোরা, চোখে অস্পষ্ট দেখে। এসব সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে ঝটপট ইফতারে মিষ্টি জাতীয় খাবার খান। খেজুর, শরবত অথবা জুসের পাশাপাশি গ্লুকোজের শরবতও পান করতে পারেন।
ইফতারের জন্য হালিম একটি উপকারী খাবার। এতে ডাল জাতীয় খাদ্য বেশি থাকে বলে শরীরের জন্য উপকারী। এছাড়া হালিম খেলে পায়খানার কষাভাব কমে যায়।
খেজুর হলো কার্বোহাইড্রেট, চিনি, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের ভালো উৎস। খেজুর শুকনা খাবার, তাই এটা খনিজ পদার্থেরও একটি প্রধান উৎস। এজন্য প্রতিদিনের ইফতারে অন্তত পাঁচটি খেজুর খান। একটি কলাও সঙ্গী হতে পারে আপনার ইফতার মেন্যুতে। এতে রয়েছে শর্করা, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। আর ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে তো আছেই।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৪
এএটি/আরআইএস