উৎসব মানেই রং। আর সে রং আরও গাঢ় করে তোলে মেহেদির নকশা।
মেহেদির সঙ্গে গ্লিটার ও স্টোনের ব্যবহার যোগ করেছে আলাদা সমীকরণ। পছন্দমতো মোটিফ মাথায় রেখে পুরো হাত সাজানো হয়। ডিজাইনের জন্য ক্যালিগ্রাফিক, ফুলেল, চরকা, পানপাতা, কলকা, ময়ূর, জ্যামিতিক মোটিফ সবসময়ই জনপ্রিয়। অনেকে আবার মেহেদির সঙ্গে নেইলপলিশ ব্যবহার করেন নখে। সবমিলিয়ে হাতের আকৃতি ও গঠন অনুযায়ী বেছে নিতে হবে ডিজাইন। এছাড়া কিছু উপায় জানলে মেহেদির রং গাঢ় করা সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক:
মেহেদি হাতে ব্যবহারের আগে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। তার মধ্যে একটি হলো, হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। হাতে যেন কোনো মেহেদি না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। হাতে ময়লা, মৃত কোষ থাকলে মেহেদির রং ঠিকভাবে বসে না। তাই এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয় যদি মেনিকিওর করে নিতে পারেন।
মেহেদি সব সময় রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পরবেন। এরপর সারা রাত হাতে মেহেদি রেখে দিলে ভালো হয়। তবে মেহেদি শুকিয়ে গেলে তা সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে ফেলবেন না। কিছু মেহেদি শুকিয়ে নিজ থেকেই পড়ে যাবে। অথবা হাত দিয়ে ঘষে আপনি নিজেই ফেলে দিতে পারেন।
মেহেদি শুকিয়ে যাওয়ার পর অন্তত আট ঘণ্টা হাতে পানি লাগাবেন না। এতে মেহেদির রং গাঢ় হবে।
মেহেদির রং গাঢ় করার ক্ষেত্রে একটি কার্যকরী উপায় হতে পারে চিনি এবং লেবুর রস ব্যবহার।
মেহেদি যখন শুকিয়ে যাবে তখন লেবুর রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে হাতে সেই মিশ্রণ লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর শুকিয়ে গেলে হাত মুছে নিতে হবে। এতে রং গাঢ় হবে, সেই সঙ্গে হবে দীর্ঘস্থায়ী।
লবঙ্গ কাজে লাগাতে পারেন মেহেদির রং গাঢ় করার ক্ষেত্রে। প্রথমে একটি লোহার কড়াই চুলায় বসিয়ে চুলা জ্বালিয়ে দিন। এরপর তাতে কয়েকটি লবঙ্গ দিন। কড়াই থেকে ধোঁয়া বের হলে তার ওপর আপনার হাত দুটি ধরে রাখুন। এতে মেহেদির রং সহজেই গাঢ় হবে। তবে সাবধানে করবেন, গরম কড়াই যেন হাতে না লাগে।
মেহেদি তুলে ফেলার পর হাত গরম রাখতে হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয় হাতে ভিক্স বা অন্য কোনো ব্র্যান্ডের সর্দি-কাশির বাম লাগিয়ে ঘুমাতে গেলে। এতে সারা রাত হাত গরম থাকবে। এরপর সকালে উঠে সুন্দর গাঢ় রং পাবেন। তবে হাতে বাম লাগানো অবস্থায় সেই হাত দিয়ে কোনো খাবার খাবেন না বা চোখে-মুখে ডলবেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২৪
এএটি