পরিবেশগত দূষণের কারণে ত্বকের সমস্যায় কমবেশি প্রত্যেককেই পড়তে হয়। ত্বকের যত্নে আপনি হাত বাড়ালেই বাজারে হরেক রকমের প্রসাধনী পাবেন।
কাঠকয়লা ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক, ময়লা ও টক্সিন বের করে নিশ্ছিদ্র ত্বক পেতে সাহায্য করে। বাড়িতে প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের যত্ন নিতে আপনিও ব্যবহার করে দেখতে পারেন যাদুকরী এই উপাদান।
আসুন দেখে নেই ত্বকের যত্নে কাঠকয়লা কীভাবে কাজ করে-
ত্বক পরিষ্কার করে
প্রতিদিনের দূষণ, ময়লা, স্কিন অয়েল ত্বকে আটকে ত্বক নির্জীব করে দেয়। কাঠকয়লা অতিরিক্ত তেল, দূষিত পদার্থ ত্বক থেকে বের করে ত্বক পরিষ্কার করে তোলে।
দুই চা চামচ কাঠকয়লা দুই চামচ বিশুদ্ধ পানিতে মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে নিন। মুখ ধুয়ে এই মিশ্রণটি ডিপ ক্লিঞ্জার হিসেবে ব্যবহার করুন। ১০ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ময়েশ্চারাইজ ব্যবহার করুন।
মরা চামড়া তোলে
নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করলে মরা চামড়া উঠে ত্বক উজ্জ্বল হয়। কাঠকয়লার গঠন বিন্যাসের কারণে এক্সফোলিয়েট স্ক্রাব হিসেবে ভালো কাজ করতে পারে।
১-২ চামচ কাঠকয়লার গুঁড়া ১ চা-চামচ নারিকেল তেলে মেশান। নরম ও সতেজ ত্বক পেতে দুই মিনিট মাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। অতিরিক্ত ঘষাঘষির ফলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। পাতলা, তেলতেলে ত্বকে সপ্তাহে দু’বার এবং শুষ্ক, সংবেদনশীল ত্বকে সপ্তাহে একবার এক্সফোলিয়েট করুন।
বন্ধ লোমকূপ খুলে দেয়
লোমকূপ বন্ধ হয়ে গেলে ত্বক সৌন্দর্য হারায়, মুখে ব্রণ তৈরি হয়। স্কিন অয়েল, মরা চামড়া, ধুলাবালি, দূষিত পদার্থ লোমকূপ বন্ধের জন্য দায়ী। এই সাধারণ সমস্যাটির একটি সহজ সমাধান আছে। সমপরিমাণ আপেল সাইডার ভিনেগার ও কাঠকয়লা মিশিয়ে একটি মাস্ক তৈরি করে নিন। লোমকূপ পরিষ্কারক পেস্টটি ১০-১৫ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
ব্রণ দূর করে
কাঠকয়লা, কয়েক ফোঁটা টি-ট্রি অয়েল, ১ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল, এক চিমটি লবণ আর সামান্য পরিমাণ পানি মিশিয়ে ব্রণ প্রতিষেধক মাস্ক তৈরি করে ফেলা যায়।
ক্ষত সারায়
কাঠকয়লা ক্ষতিগ্রস্ত চামড়া ও ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে। ক্ষত সারিয়ে উঠতে বাধা দেয় এমন টক্সিন বের করে দেয়। বিভিন্ন ড্রেসিং-এর কাজে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল সিলভারের সাথে কাঠকয়লা ব্যবহার করে ক্ষতের চিকিৎসা করা হয়।
যেকোনো কিছুই অতিরিক্ত ব্যবহার করা ঠিক নয়। বাণিজ্যিকভাবে পণ্য প্রস্তুত করার সময় এগুলোর গুণমান, কার্যকারিতা যাচাই করা হয়। যখন আপনি বাড়িতেই কাঠকয়লা ব্যবহার করবেন, তখন এর অতিরিক্ত ব্যবহার সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৭ ঘণ্টা, মে ২,২০২৪
এসআইএস