ঢাকা, শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

বাসা বদলের সময় জিনিসপত্র গোছগাছ

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫২ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২৪
বাসা বদলের সময় জিনিসপত্র গোছগাছ

যারা বদলির চাকরি করেন বা ভাড়া বাড়িতে থাকেন তাদের কিছুদিন পর পরই বাসা বদল করতে হয়। তাদের জন্য দেওয়া হলো এমন কিছু টিপস, যাতে কিছুটা হলেও সহজ হবে বাসা বাদল।

সময় নিয়ে গোছান
সুষ্ঠুভাবে সব জিনিসপত্র স্থানান্তরিত করার ক্ষেত্রে সময় নিয়ে গোছগাছ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সবচেয়ে ভালো হয় এক দিনে বাসা বদল না করে কয়েক দিন অল্প অল্প করে জিনিসপত্র নিয়ে যেতে পারলে। গোছানো শুরু করার আগে একটি সময়সূচি তৈরি করুন। সেই অনুযায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বাদে বাকি জিনিস গুছিয়ে ফেলুন আগেই।

সংসারের জরুরি যন্ত্রপাতি
ফ্রিজ খালি করে ফেলতে হবে অন্তত আট ঘণ্টা আগে। এসি, গিজার, ওয়াটার পিউরিফায়ার কিংবা ওয়াশিং মেশিন থাকলে তা আগে থেকেই লোক ডেকে খুলিয়ে নিতে হবে। যেসব জিনিস খুলে ফেলে পুনরায় লাগানোর ব্যবস্থা রয়েছে, সেগুলোর দরকারি অংশ, নাট ও স্ক্রুর মতো ছোট ছোট টুকরোগুলো আলাদা ব্যাগে না ভরলে হারিয়ে যেতে পারে। নতুন জায়গায় যাওয়ার আগে রান্নার গ্যাসের ব্যবস্থা করে নিতে হবে। যদি আপনার নামে গ্যাস সিলিন্ডার নেওয়া থাকে, তা হলে গ্যাসের অফিসের গিয়ে ‘ট্রান্সফার’ করাতে হবে। যদি এই কানেকশন বন্ধ করে নতুন কানেকশন নিতে চান, তা হলেও গ্যাসের অফিসে গিয়ে আপনার বর্তমান কানেকশন বন্ধ করার আবেদন জানিয়ে যাবতীয় নথি নিয়ে নিতে হবে।

সঠিক জিনিস বাছুন
যে ধরনের বাক্সে করে জিনিসপত্র নিয়ে যাবেন সেগুলো যেন ভালো মানের হয়। বেশি করে কিনুন বাবল র‍্যাপ। পাশাপাশি গোছানোর সময় এমন বহু জিনিস মিলবে যেগুলো দীর্ঘদিন ব্যবহৃত হয়নি। এই সুযোগে সেই সব জিনিস বাতিল করে দিন। প্রতিটি বাক্সের ওপর লিখে রাখুন সামগ্রীর নাম। কোনো মতেই বাক্সের আয়তনের তুলনায় বেশি জিনিস ভরাট করবেন না। আবার কোনো জায়গা ফাঁকাও রাখবেন না। তাহলেই জিনিস নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

নির্দিষ্ট বাক্সে নির্দিষ্ট জিনিস
একই ধরনের জিনিস একইসঙ্গে রাখাই ভালো। তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে একটির প্রভাবে অন্যটির ক্ষতি হতে পারে, এমন দুটি জিনিস একসঙ্গে না রাখা হয়। অনেক সময় এই বিষয়টি মাথায় থাকে না। কিন্তু মনে রাখবেন, জিনিসপত্র টানটানি করার সময় বাক্স উল্টে পাল্টে যেতে পারে ফলে ভেতরের জিনিস স্থির থাকে না। বিশেষত, রাসায়নিক জিনিসপত্র, ধারাল জিনিস, বৈদ্যুতিক জিনিস, রান্নার সামগ্রী কিংবা রূপটানের বস্তু আলাদা বাক্সে ভরা উচিত।

অত্যাবশ্যকীয় জিনিসের জন্য আলাদা ব্যাগ
নতুন বাড়িতে পৌঁছেই দরকার হতে পারে এমন কিছু সামগ্রী একটি আলাদা বাক্সে ভরতে হবে। অল্প কিছু খাবার দাবার, ইন্ডাকশন আলদা করে নিতে হবে, যাতে পৌঁছে কিছু হালকা খাবার খেতে হলে অসুবিধা না হয়। পরের দিন অফিস থাকলে অফিসের পোশাক ও প্রয়োজনীয় জিনিস ভরতে হবে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ব্যাগে। কারণ অনেক সময়, নতুন বাড়িতে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই সব কিছু খুঁজে পেতে সমস্যা হতে পারে।

দামি জিনিস নিজের মতো রাখুন
জিনিসপত্রের মূল্য সব সময় টাকায় মাপা যায় না, গয়নাগাটি ছাড়াও এমন অনেক জিনিস থাকে যা স্মৃতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকে। বাড়ি বদলের সময় এই জিনিসপত্রগুলো হারিয়ে যেতে পারে। তাই এই জিনিস বাক্সে ভরা উচিত নয়। নিজের কাছে রাখাই ভালো।

পেশাদারদের ডাকুন
যদি অর্থনৈতিক সমস্যা না থাকে তবে পেশাদার সংস্থার সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। বর্তমানে এই ধরনের সংস্থা নিজেদের দায়িত্বে জিনিসপত্র গুছিয়ে নতুন বাসস্থলে রেখে দিতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২৪
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।