স্বাভাবিকভাবে মেয়েদের ৪৫ থেকে ৫১ বছর বয়সের মধ্যে মেনোপজ বা মাসিক স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়। মেনোপজের পর মেয়েরা সাধারণত সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা হারায়।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো ২০ বা ৩০ বছর বয়সেও মেনোপজ হতে পারে! যাকে প্রিম্যাচিওরড মেনোপজ বলা হয়। সময়ের আগেই বন্ধ হয়ে যায় ঋতুচক্র! এক্ষেত্রে সাধারণত দুইভাবে হয়ে থাকে। প্রথমতো জন্ম থেকেই যাদের জরায়ু ঠিকভাবে কাজ করে না। এক্ষেত্রে ব্রেস্ট ডেভেলপমেন্ট, পিরিয়ড ইত্যাদি কোনোকিছুই হয় না। যা প্রাইমারি ওভারিয়ান ফেলিওর-এর নমুনা।
দ্বিতীয়ত, প্রিম্যাচিওর ওভারিয়ান ফেলিওর। এক্ষেত্রে পিরিয়ড অনিয়মিত হতে হতে বন্ধই হয়ে যায়। হয়তো এক বছরেরও ওপর পিরিয়ড বন্ধ থাকে। তখন তাদের মেনোপজ হয়ে গেছে বলে ধরে নেওয়া হয়। এটা যেকোনো বয়সেই হতে পারে। তবে প্রিম্যাচিওরড মেনোপজের সম্ভাব্য কারণ কয়েকটা থাকলেও, সঠিকভাবে কারণ নির্ধারণ করা এখনও সম্ভব হয়নি। অটোইমিউন ডিজিজের ফলে, শরীরের ক্রোমোজমজনিত কোনো কারণেও হতে পারে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোনো কারণ ছাড়াই মেনোপজ হয়ে যেতে পারে।
প্রিম্যাচিওরড মেনোপজের লক্ষ্মণ
অনিয়মিত পিরিয়ড। এছাড়া ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় হট ফ্লাশ, নাইট সোয়েটও হয়। ওভারি কাজ না করলে ইস্ট্রোজেন নিঃসরণ হয় না। এর ফলে হট ফ্লাশ বা প্রচণ্ড ঘাম হওয়া, ডিপ্রেশন, ভ্যাজাইনাল ড্রাইনেস হতে পারে। এমন অবস্থায় ডাক্তার দেখালে রক্তপরীক্ষা করতে বলা হয়। পিরিয়ড অনিয়মিত হতে থাকলে তাই ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন।
চিকিৎসা
ইস্ট্রোজেনের অভাবে যে উপসর্গগুলো দেখা যায় তা নিরাময় করার চেষ্টাই এর চিকিৎসার মূল বক্তব্য। তাই হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি করতে হতে পারে। বাইরে থেকে সিন্থেটিক ইস্ট্রোজেন দিতে হয়। শুধু ইস্ট্রোজেন ট্যাবলেট দিলে ইউটেরাস লাইনিংয়ে ক্যানসার হয়ে যেতে পারে। তাই ইস্ট্রোজেনের সঙ্গে সঙ্গে প্রোজেস্টেরন হরমোনও দিতে হয়। এর ফলে পিরিয়ড আবার শুরু হয়।
সঙ্গে সঙ্গে হেলদি লাইফস্টাইল মেনে চলতে হবে। এক্সারসাইজ করতে হবে নিয়মিত। হেলদি ডায়েট করুন। ওজন বেড়ে গেলে হার্টের সমস্যার সম্ভাবনাও বাড়তে থাকে। ধূমপান একেবারে বাদ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২৪
এএটি