জীবনের প্রেম-অপ্রেম, ক্ষোভ-যন্ত্রণা, তুচ্ছতা-অপারগতাকে দুটি পাতা একটি কুঁড়িতে এমন ফুটিয়ে তুলতে বাঙালির জুড়ি মেলা ভার। আর তার প্রমাণ বাংলা সাহিত্যের ছত্রে ছত্রে।
অফিস থেকে ফিরে গুছিয়ে বসে এক কাপ চা না খেলে ঠিক চাঙ্গা হয় না শরীর। ফিরতে যত রাতই হোক, চা খান অনেকেই। আবার রাত জাগার জন্যেও অনেকে বার বার চা খান। রাত করে চা খাওয়ার অভ্যাস একেবারেই ভালো নয়। চায়ে থাকা থিয়োফাইলিনস মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে দীর্ঘক্ষণ। সহজে ঘুম আসতে চায় না। রাতে চা খাওয়ার অভ্যাসে অনিদ্রা রোগ দেখা দিতে পারে। ঘুমাতে যাওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যে চা না খাওয়াই শ্রেয়।
ভারী খাবারের সঙ্গে চা খেতে বারণ করছেন চিকিৎসকরা। এতে প্রথমত হজমের একটা গোলমাল দেখা দেয়। তবে সবচেয়ে যে সমস্যাটি হয়, তা হলো শরীরে আয়রনের পরিমাণ কমে যায়। ঝুঁকি বাড়ে অ্যানিমিয়ার। লিভারেরও নানা সমস্যা হতে পারে এর ফলে। তাই ভাত, রুটি, বিরিয়ানি এবং অন্য কোনো ভারী খাবারের সঙ্গে চা না খাওয়াই শ্রেয়।
খালি পেটে চা খাওয়ার অভ্যাস ঘরে ঘরে। ঘুম থেকে উঠে চা-এ চুমুক দেন বেশির ভাগই। এতে ঘুম আর আলসেমি কাটলেও অম্বল হওয়ার ঝুঁকি থাকে। খালি পেটে গরম চা খাওয়া একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। এর ফলে পেপটিক আলসার, গ্যাস-অম্বল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই চায়ের কাপে চুমুক না দিয়ে বরং একটা বিস্কুট খেয়ে তার পর চা খাওয়া ভালো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২৪
এএটি