শ্বাসনালির সামনের দিকে প্রজাপতির মতো একটি গ্রন্থিতেই লুকিয়ে জীবনের হাজারো স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপের নিয়ন্ত্রণ। বিপাকক্রিয়া থেকে শুরু করে শিশুর বুদ্ধির বিকাশ, বয়ঃসন্ধির লক্ষণ, নারীদের ক্ষেত্রে গর্ভধারণের সময় জটিলতা ঠেকানো— এমন অনেক ক্ষেত্রেই থাইরয়েড গ্রন্থি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
টিএসএইচ আমাদের মস্তিষ্কের ভেতরে অবস্থিত পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয় এবং থাইরয়েড গ্রন্থির স্বাভাবিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে। রক্তে টি-থ্রি, টি-ফোর হরমোন বেশি মাত্রায় থাকলে আবার টিএসএইচ-এর পরিমাণ কমে যায়। রক্তে এই হরমোনের মাত্রা ঠিক রাখতে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মত, ওষুধের পাশাপাশি ঘরোয়া কিছু খাবার খেয়েও থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
কোন কোন খাবার থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণ করতে পারে
কুমড়ার বীজ
থাইরয়েড হরমোন নিয়ন্ত্রণ করতে যে যৌগটি সাহায্য করে, সেটি হলো জিঙ্ক। ওষুধ ছাড়া জিঙ্কের প্রাকৃতিক উৎস হলো কুমড়া বীজ। থাইরোসিন নামক একটি অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে এই বীজে। যা থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
* কারিপাতা
কারি পাতায় থাকা বিভিন্ন খনিজের মধ্যে একটি হল তামা। এই খনিজটি থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদন এবং রক্তে তার শোষণ করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। এ ছাড়াও থাইরয়েড হরমোনের তারতম্যের কারণে চুল পড়া, দুর্বলতা, ত্বকের যে ধরনের সমস্যা হয়, তা-ও রুখে দিতে পারে।
* সবুজ মুগ
সবুজ মুগডালে রয়েছে আয়োডিন। থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যক্ষমতা স্বাভাবিক রাখতে এবং গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
* দই
অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকলে তার প্রভাব পড়ে বিপাকহারের ওপর। এই বিপাকহারের প্রভাব পড়ে থাইরয়েড গ্রন্থির ওপর। পুষ্টিবিদদের মতে, এই প্রোবায়োটিক খাবারটিতেও যথেষ্ট পরিমাণে আয়োডিন থাকে। তাই থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে রোজ পাতে রাখতে হবে দই।
* বেদানা
থাইরয়েড গ্রন্থিকে সুরক্ষিত রাখে পলিফেনল নামক একটি যৌগ। যা পাওয়া যায় বেদানা থেকে। এছাড়াও বেদানাতে রয়েছে ইলাজিক অ্যাসিড, যা থাইরয়েড হরমোন ক্ষরণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০২৪
এএটি