ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

মহানায়ক উত্তমকুমার ও দুর্লভ দুটি গান

রক্তিম দাশ কলকাতা করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০১০

বাংলা চলচ্চিত্রের মহানায়ক উত্তমকুমারের আজ জন্মদিন। ১৯২৬ সালে ৩ সেপ্টেম্বর কলকাতায় তার জন্ম।

এরপর দীর্ঘ এক সফল জীবন শেষে ১৯৮০ সালের ২৪ জুলাই তিনি তার অসংখ্য ভক্ত আর অনুরাগীদের কাঁদিয়ে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে বিদায় নেন। কিন্তু আজও তিনি অমর। যতদিন বাঙালি থাকবে, ততদিন তিনি থাকবেন। তার ভক্তসংখ্যা কোনও যুগকে মানে না।

তার প্রয়াণের তিন দশক পরও তাই তিনি আজও বাংলা চলচ্চিত্রের ধ্রুবতারা হয়ে স্বমহিমায় উজ্জ্বল। তার প্রতি বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডির শ্রদ্ধার্ঘ।

উত্তমকুমারের দুর্লভ গান
১৯৪৬-এর দাঙ্গার সময় উত্তমকুমার ছিলেন ২০ বছরের তরুণ। দাঙ্গার ভয়াবহতা উপলব্ধি করে তরুণ উত্তমকুমার লিখেছিলেন দুটি বিশেষ গান, যা তিনি নিজেই সুর দিয়ে গাইতেন, পাঠকদের জন্য তুলে ধরছি সেই গান দুটি। একটি বাংলা, একটি হিন্দি। গানগুলো পাওয়া গেছে উত্তমকুমারের নাতি গৌরব চট্টোপাধ্যায়ের সৌজন্যে।

‘তোমাকে দেখবার জন্য যখন জনতা
উদ্বেল হয়ে ওঠে
গাড়িঘোড়া ট্রাম বাস বন্ধ করে দেয়
পথে অবরোধ সৃষ্টি করে
ভেব না, তারা কোনও মুহূর্তের
খেলাওয়ালা অভিনেতাকে দেখতে চায়
তারা পরোক্ষে দেখতে চায় সেই
মৃত্যুহীন মহান প্রণেতাকে। ’

হিন্দুস্থান মে ক্যায়া হ্যায় তুমারা
ও ব্রিটিশ বেচারা
আভি চলি যাও ইংল্যান্ড বাজা কর ব্যান্ড
মন্দির মসজিদ মে শুন আজান পুকারর্তি
দিল কে দিলাও মিল হিন্দু মুসলমান
সারি হিন্দুস্থান আয়ি তুফান
গরিবো কি দুঃখ কি হোগি আসান।

এক নজরে মহানায়ক
জন্ম: ৩ সেপ্টেম্বর, ১৯২৬। ৫১ আহিরীটোলার মামাবাড়িতে।
বাবা-মা: সাতকড়ি চট্টোপাধ্যায় ও চপলা দেবী।
প্রকৃত নাম: অরুণকুমার চট্টোপাধ্যায়।
ভাই-বোন: বরুণ ও তরুণ। বোন পুতুল অল্প বয়সেই মারা যান।
স্কুল: প্রথমে চক্রবেড়িয়া হাই স্কুল ও পরে সাউথ সাবার্বন থেকে মেট্রিক পাস করেন।
কলেজ: সরকারি কমার্শিয়াল কলেজ।
কর্মস্থল: পোর্ট কমিশনার্সে ক্যাশিয়ার ১৯৪৪ সালে। ১৯৫২ ডিসেম্বরের ৪ তারিখে ইস্তফা দেন।
অভিনয়: হিন্দি মায়াডোর ১৯৪৭ (অসমাপ্ত)।
নায়ক: কামনা চলচ্চিত্রে।
বিয়ে: গৌরী দেবীকে বিয়ে করেন ১৯৫০-এর ১ জুন।
অভিনয়ের চাকরি: এম পি প্রডাকশনের ৪০০ রুপি বেতনে (১৯৫০)।
পুত্র: গৌতম, জন্ম ১৯৫১-এর ৭ সেপ্টেম্বর।
প্রথম হিট চলচ্চিত্র: বসু পরিবার ১৯৫২।
নাটকে অভিনয়: স্টার থিয়েটারে ‘শ্যামলী’ নাটকে ১৯৫৩।
প্লেব্যাক: নবজন্ম চলচ্চিত্রে ১৯৫৬।
প্রযোজনা: ১৯৫৭-তে হারানো সুর।
পরিচালনা: ১৯৬৬-তে শুধু একটি বছর।
সঙ্গীত পরিচালনা: ১৯৬৬-তে কাল তুমি আলেয়া।
হিন্দি চলচ্চিত্র: ১৯৬৭-তে ছোটিসি মুলাকাত।
বিদেশ যাত্রা: নায়ক ছবিতে অভিনয়ের জন্য ১৯৬৬-তে বার্লিন চলচ্চিত্রে উৎসবে।
সম্মাননা: চিড়িয়াখানা ও অ্যান্টনি ফিরিঙ্গির জন্য ভারত সরকারের ভরত পুরস্কার ১৯৬৭।
প্রিয় কবি: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
প্রিয় বই: গীতাঞ্জলি।
প্রিয় ফুল: গোলাপ।
প্রিয় গান: ‘এই মণিহার আমার নাহি সাজে’ ও ‘আমি জেনে শুনে বিষ করেছি পান’।
প্রিয় মানুষ: মা।
প্রিয় স্থান: তোপচাঁচি ও পশ্চিম জার্মানি।
প্রিয় রঙ: সাদা।
প্রিয় পোশাক: ধুতি পাঞ্জাবি।
প্রিয় খাবার: চিড়িং মাছের মালাইকারি, ইলিশ পাতুরি, চিলি চিকেন মিক্সড ফ্রাইড রাইস ও রসগোল্লা।
প্রিয় পারফিউম: ইন্টিমেট, শ্যানেল নম্বর ৫, দতোযালেৎ স্যাঁলোবই।
প্রিয় সিগারেট: ৫৫৫, বেনসন অ্যান্ড হেজেস।
প্রিয় ঘড়ি: রোলেক্স ও ব্ল্যাক ডায়ালের ওমেগা।
প্রিয় গাড়ি: ফিয়েট।
প্রিয় ফুটবল কাব: মোহনবাগান।
প্রিয় কলম: পার্কার ফিফটি ওয়ান।
শেষ অভিনয়: ওগো বধূ সুন্দরী ১৯৮০।

ই-মেইল: Raktim Das

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৬৫০, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।