ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

আসছে রম্য ধারাবাহিক ‘ফকির বাড়ির ইতিকথা’

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১০

অনেক নাটকই নির্মিত হচ্ছে। তবে কাহিনীতে গতানুগতিকতার কারণে দর্শকপ্রিয়তা পাচ্ছে না  বেশিরভাগ নাটক।

হাসির নাটকের নামে হচ্ছে, তা স্থূল ভাড়াঁমির হাস্যকর নাটক। এ অবস্থার মধ্যেই ভিন্নধর্মী গল্প আর দর্শকদের সত্যিকারের হাসির নাটক দেখানোর মাধ্যমে বিনোদন দেয়ার স্লোগান নিয়ে নির্মিত হচ্ছে একটি নতুন মেগা ধারাবাহিক। রম্য এই মেগাধারাবাহিকের নাম ‘ফকির বাড়ির ইতি কথা’।

১০৪ পর্বের এ ধারাবাহিক নাটকটি পরিচালনা করছেন সরদার মেহেদী হাসান। রচনা করেছেন রাজু সিদ্দিক। ইভেন্ট টাচ মিডিয়ার প্রযোজনা ও কারিগরী সহযোগিতায় নির্মিত হচ্ছে নাটকটি।


‘ফকির বাড়ির ইতিকথা’ নাটকের কাহিনী গড়ে উঠেছে একটি বাড়িকে কেন্দ্র করে। বাড়ির নাম ফকির বাড়ি।   বড়চাচা ও ছোটচাচা, দুই ভাইয়ের এক যৌথপরিবার। এই যৌথ পরিবারে সদস্যদের ম্বভাব বড় বিচিত্র। বাড়ির কর্তা বড়চাচা; যিনি রেগে গেলে কাজের ছেলে তলতার গালে চর মেরে রাগ কমান, অবশ্য প্রতি চরের জন্য তলতা ঠান্ডা খাওয়ার  পয়সা পায়। বড় চাচার ছেলে বাদল ভার্সিটি পাশ বেকার; ইচ্ছা ব্যবসা করার, কিন্তু ব্যবসা খুঁজে পাচ্ছে না। বড় চাচার ছোট মেয়ে  বিধু, বাড়িতে কিছু ঘটলে তার রেশ মিলাবার আগেই সব আত্ময়স্বজনকে ফোনে জানিয়ে দেয়। ছোট চাচার ছেলে  নয়ন, সারা দিন ঘুমায় আর রাতে জেগে থাকে; তার এই স্বভাবের জন্য সে নাইট কলেজে অনার্স করছে। বড় চাচার বড় মেয়ের ঘরের নাতি রোদ; যার মুখের কথা কেউ কখনো শুনতে পায় না, তবে তার দুষ্টমীতে সবাই অতিষ্ঠ। এছাড়াও এ পরিবারে আরো আছে - দুলাভাই, মোতালেব মামা, তিসি, বড়চাচি, বীণা এবং বেড়াতে আসা নানা স্বভাবের লোকজন।
    
নাটকের কাহিনীধারায় দেখা যাবে; হঠাৎ করে খবর বের হয়, পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে একটা গ্রহাণু। যার আঘাতে পৃথিবীতে মহাপ্রলয় ঘটবে। আর এই প্রলয়ের পর দেখা দিবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অভাব, তাই বড়চাচার ছেলে বাদল পরিকল্পনা করে কেরসিন তেল ও লবন স্টক করে মহাপ্রলয়ের পর বেশি দামে বিক্রি করার। মহাপ্রলয়ের আতঙ্কে সবাই আতঙ্কিত। কাজের ছেলে তলতা পূণ্যের জন্য ভাল কাজ করতে গিয়ে পাড়ার লোকের হাতে মার খেয়ে খোঁড়াতে খোঁড়াতে বাসায় আসে। বুয়া স্বামী-সন্তানদের সাথে মরার জন্য গ্রামে চলে যায়। বাসায় দেখা দেয় এক বিশৃঙ্খল অবস্থা। মহাপ্রলয় সম্পর্কে পত্রিকার বুক-কাঁপা খবর পড়ে বাদল বিভাকে বাসায় নিয়ে আসে বিয়ে করে জীবনের শেষ ইচ্ছা পুরণ করার জন্য, বাদল বড়চাচার হুঙ্কার শুনে বিভাকে ফেলেই পালায়। যদিও শেষ পর্যন্ত মহাপ্রলয় হয় না। রা পায় পৃথিবী। কিন্তু ফকিরবাড়ি সদস্যরা জড়িয়ে পড়ে আরেক ঘটনায়। আর এরকমই বিচিত্র সব ঘটনা নিয়ে বিস্তার হয় ফকির বাড়ির ইতিকথা।

‘ফকির বাড়ির ইতিকথা’ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন, ড. ইনামুল হক, চিত্রলেখা গুহ, দীপা খন্দকার, ডা: এজাজ আহমেদ, ফারুক আহমেদ, আদনান ফারুক হিল্লোল, তন্দ্রা ঈষিকা, শাবরিন সাকা মীম, আলভী, সঞ্জীব চৌধুরী, রোদ রাহা, এখলাস, জাহানারা প্রমুখ।

ইভেন্ট টাচের প থেকে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে ফকিরবাড়ির ইতিকথা নাটকটি ১০৪ পর্ব পর্যন্ত নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। পরবর্তীতে পর্ব সংখ্যা বাড়তে পারে। এরই মধ্যে নাটকটির প্রথম লটের শুটিং শেষ হয়েছে উত্তরা বিভিন্ন লোকেশনে। বর্তমানে নাটকটির এডিটিং চলছে। কিছুদিনের মধ্যে নাটকটি একটি স্যাটেলাইট চ্যানেলে প্রচার শুরু হবে বলে প্রযোজনা সূত্রে জানা গেছে।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২০৪০, ডিসেম্বর ০৩, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।