ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

বলিউডের সেলিব্রিটি ভাইবোনেরা

তৌহিদ রনী | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১১

তারকা হওয়া মোটেও সহজ নয়। শুধু প্রতিভা থাকলেই হয় না, প্রয়োজন চেষ্টা-সাধনা-নিষ্ঠা আর ভাগ্যের সহায়তা।

বলিউডের রঙচঙে দুনিয়ায় জায়গা করে নেওয়া তো আরো কঠিন। অথচ বলিউডে এমন অনেক পরিবারে আছে, যেখানে তারকার ছড়াছড়ি। পূর্বপ্রজন্মের পথ ধরে নতুন প্রজন্ম জায়গা করে নিচ্ছে ইন্ডাস্ট্রিত। বাবা-মার পর আসছেন ভাই-বোন, দাপটে রাজত্ব করছেন বলিউডে। আবার নিজেদের চেষ্টায় একই পরিবার থেকেই কেউ কেউ হয়ে উঠেছেন তারকা। এমনই কজন সেলিব্রিটি ভাইবোনের গল্প শোনা যাক।

রাজ-শাম্মী-শশী কাপুর
বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রথম যুগের তারকা পৃথ্বীরাজ কাপুর। তার তিন ছেলেই আপন মেধায় বলিউডে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। রাজ কাপুর, শম্মী কাপুর আর শশী কাপুর, এই তিন ভাই ভারতীয় সিনেমার মানচিত্রে বলিউডকে দাঁড় করিয়েছেন স্বতন্ত্র মর্যাদায়। ভারতীয় রাজনীতিতে গান্ধী পরিবারের যে মর্যাদা, বলিউড ফিল্মডোমে কাপুর পরিবারেরও তাই।

রাজ কাপুরের কথাই বলা যায়। বলিউডের এই চিরস্থায়ী শোম্যানের ফিল্মি ক্যারিয়ার শুরু হয় কেদার শর্মার ছবির ক্যাপার বয় হিসেবে। ১১ বছর বয়সে প্রথম ক্যামেরার সামনে অভিনয়। বয়স যত বেড়েছে গুটিপোকা থেকে প্রজাপতি হওয়ার মতো নিজেকে আরও ঝকঝকে, আরও পরিণত করে তুলেছেন রাজ কাপুর। শুধু নায়ক নন, পরিচালনা এবং প্রযোজনাতেও তিনি একইরকম দ ছিলেন।

মেজভাই শাম্মী আবার ঠিক উল্টো। তিনি ছিলেন উচ্ছলতার প্রতীক এবং অনেকটা আমুদে স্বভাবের। ‘জংলি’,‘তিসরি মঞ্জিল’-এর মতো ছবি করে নিজেকে দাঁড় করেছিলেন টিনএজ আইকন হিসেবে।

ছোটভাই শশী আবার গোড়া থেকেই লাভার বয়। এই ইমেজের পাশাপাশি ‘দিওয়ার’,‘কভি কভি’র মতো ছবিতে দর্শক দেখেছেন শক্তিশালী অভিনেতা শশী কাপুরকে।

লতা-আশা মুঙ্গেশকার

বলিউডের প্লে-ব্যাক রাজত্বের একটা বড় অংশ রয়েছে মুঙ্গেশকার পরিবারের দখলে। লতা মঙ্গেশকার ভারতীয় সঙ্গীতকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। ভারতীয় সুরের জাদু তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্ববাসীর কাছে। পরবর্তীতে গান চালিয়ে গেলেও প্লে-ব্যাক থেকে তিনি খানিকটা দূরে সরে যান।
দিদির শূন্যস্থান ঢেকে দিতে এগিয়ে আসেন বোন আশা ভোঁসলে। প্রায় চার দশকেরও বেশি সময় ধরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন মুঙ্গেশকার বোনেরা। নার্গিস, মধুবালা থেকে কাজল, জুহি, প্রীতি এমন কোনও  নায়িকা নেই যারা লতা বা আশার গানে ঠোঁট মেলাননি। লতা যেমন ভারতীয় ও শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের পুরোধা, তেমনি তার বোন আশা ওয়ের্স্টান সঙ্গীতের প্রসার ঘটিয়েছেন বলিউডে।

লতা ও আশার আর এক বোন উষাও হিন্দি এবং মারাঠি ছবিতে প্লে-ব্যাক করেন। তাদের ছোট বোন মীনা মুঙ্গেশকারও বেশ ভালো গাইতেন।

রণধীর-ঋষি-রাজীব কাপুর
কাপুর পরিবারের পরবর্তী প্রজন্মের তারকা রণধীর-ঋষি কাপুর। রাজ কাপুরের তিন ছেলেই বলিউডে নিজেদের পরখ করেছেন। বড় ছেলে রণধীর প্রথম ব্রেক পান বাবার নির্মিত ‘কাল আজ অউর কাল’ ছবিতে। চেহারায় বাবার ছায়া থাকলেও রণধীর কোনওদিনই বাবার সাফল্যের ধারে কাছে পৌঁছাতে পারেননি। তার হিট ছবি হাতে গোনা কয়েকটি। এর মধ্যে ‘কসমে ওয়াদে’, ‘চাচা ভাতিজা’ অন্যতম।
 
তুলনায় মেজ ছেলে ঋষি কাপুর অনেক এগিয়ে। ‘মেরা নাম জোকার’-এ রাজ কাপুরের ছোটবেলার চরিত্র দিয়ে ঋষির ছবির জগতে আসা। ‘ববি’ ছবিতে অভিনয়ের পর হয়ে গেলেন টিন এজারস হার্টথ্রুব। তারপর ‘সরগম’, ‘সাগর’, ‘অমর আকবর অ্যান্টনি’ থেকে ‘বোল রাধা বোল’-পর্যন্ত লম্বা ইনিংস খেলেছেন ঋষি।

বড় দুই দাদার চেয়ে রাজ কাপুরের ছোট ছেলে রাজীব অনেকটাই পিছিয়ে। মাত্র ১৩টি ছবিতে অভিনয় করে তিনি চলে আসেন পরিচালনায় এবং প্রযোজনায়। কিন্তু সেখানেও ভাগ্যদেবতা তার দিকে মুখ তুলে চাননি। তাই অনেকটা কষ্ট নিয়েই তাকে রুপালি পর্দা ছেড়ে বিদায় নিতে হয়েছে।

রাজ কাপুরের একমাত্র মেয়ে ঋতু অভিনয়ে না এসেও পেয়েছেন তারকা মর্যাদা। তিনি এখন একজন সফল কর্পোরেট কর্মকর্তা। পেশা বেছে নিয়েছেন ইন্সুরেন্স। একদিনে ১৭ হাজার মানুষের পেনসন পলিসি করার জন্য গিনেস বুকে উঠেছে ঋতুর নাম।

কারিশমা-কারিনা কাপুর
বলিউডে কাপুর পরিবারের সাফল্যের ধারায় ঋষি অধ্যায়ের পরে রণধীর কাপুরের দুই মেয়েই হয়ে উঠেছেন যোগ্য উত্তরসূরি। অবশ্য প্রথম দিকে কাপুর খানদানের মেয়েদের ফিল্মে নামা নিষেধ ছিল। তাই বিয়ের পর একমাত্র শশী কাপুরের স্ত্রী জেনিফার আর তাদের মেয়ে সঞ্জনা ছাড়া দীর্ঘ দিন কেউ অভিনয়ের ধারে কাছে আসেননি। এর অনেক পরে আসেন কারিশমা। তাও মা ববিতার জেদে। মা চাচ্ছিলেন তার মেয়েরা ছবিতে কাজ করুক। দুই মেয়ে কারিশমা ও কারিনা মা বলতে যেন অজ্ঞান। মা ববিতার কথা না শুনে কেউই এক পা বাড়ান না।

অবশ্য বলিউডে সাফল্য পেতে কারিশমাকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছে। আর দিদির সুবাদে কারিনার পথ খানিকটা মসৃণ ছিল শুরু থেকেই। কারিনা লড়াই করেছেন শুধু বলিউডের প্রতিকূলতা সামলে টিকে থাকার জন্য। কেউ কেউ বলেন ছোট বোন কারিনাকে ফোর দিতেই সরে যান কারিশমা বলিউড থেকে। আবার অনেকের মতে, নিজের যোগ্যতা দিয়েই বলিউডে রাজত্ব করছেন কারিনা। সময়ের উপযোগী সাইজ জিরো ফিগার করে কারিনা এখন রয়েছেন বলিউডের প্রথম সারির নায়িকাদের সারিতে।

সালমান খান-আরবাজ খান-সোহেল খান
বলিউডের অনেক সুপারহিট ছবির খ্যাতিমান স্ক্রিপ্ট রাইটার সেলিম খান। খান পরিবারের ছেলেরাই পরবর্তীকালে হয়ে উঠেন বলিউডের  অন্যতম নীতি নির্ধারক। অভিনয়-পরিচালনা-প্রযোজনা, সবকিছুতেই তাদের আধিপত্য।

সালমান খান প্রভাবশালী খানদের মধ্যে অন্যতম। তিনি অনেক জনপ্রিয় ছবির নায়ক। বলিউডের অধিকাংশ নায়িকাই তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন। মাধুরী দীতি থেকে শুরু করে হালের সোনাী সিনহা সবাই সালমানের নায়িকা হয়েছেন। প্রত্যেকের বিপরীতেই সালমান সফল নায়ক। ব্যক্তিগত জীবনে এলোমেলো স্বভাবের সালমান ক্যারিয়ারের ব্যাপারে খানিকটা  উদাসীন। তবে পরোপকারী হিসেবে তার রয়েছে আলাদা সুনাম।

সালমানের অপর দুই ভাই আরবাজ খান ও সোহেল খান অনেকটা গুছানো প্রকৃতির। আরবাজ খান বলিউডের হট গ্লামার গার্ল মালাইকা আরোরার সঙ্গে ঘর করার পাশাপাশি নিয়মিত অভিনয় করে যাচ্ছেন।

ছোট ভাই সোহেল খানও ভালই অভিনয় করছেন। এর মধ্যে ‘ম্যাইনে পেয়ার কিউ কিয়া’, ‘আরিয়ান’, ‘ফাইট কাব’ প্রভৃতি অন্যতম। তবে সোহেল বেশির ভাগ ছবিতেই সালমানের সাথে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেছেন। সালমান ভ্রাতৃদ্বয়ের বর্তমান ব্যস্ততা এবং অভিনয় দেখে বোঝা যায় তারা আরও কয়েক বছর বলিউডে রাজত্ব করবেন।

সাইফ আলী খান-সোহা আলী খান
বলিউডের একসময়ের সুপার-ডুপার হিট নায়িকা শর্মিলা ঠাকুর। বিয়ে করেছেন সিনেমা হল ব্যবসায়ী মনসুর আলী খান পতৌদিকে। তাদের দুই সন্তান সাইফ আলী খান ও সোহা আলী খান। মায়ের পথই বেছে নিয়েছেন দুই ভাইবোন। বলিউডে এত বড় ব্যাকগ্রাউন্ড থাকা সত্ত্বেও সাইফের শুরুটা মসৃণ হয়নি। অনেক লড়াই করতে হয়েছে তাকে। দিনরাত কঠোর পরিশ্রমের পর আজ তিনি প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। ‘দিল চাহতা হ্যায়’ থেকে হিন্দি সিনেমার ধরন যেমন পাল্টেছে, তেমনই ঘুরে দাঁড়িয়েছেন সাইফ। ‘ওমকারা’, ‘বিয়িং সাইরাস’, ‘হামতুম’, ‘সালাম নমস্তে’ প্রভৃতি সফল ছবি সাইফ আলী খানকে দাঁড় করেছে সাফল্যের দরোজায়।

সাইফের তুলনায় সোহা আলী খান নতুন। নরম চেহারার সোহা তার মা ও ভাইয়ের পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে ভালই অভিনয় করে যাচ্ছেন। ‘রং দে বাসন্তী’, ‘খোয়া খোয়া চাঁদ’-এর মতো ছবিতে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। দুই ভাইবোন মিলে এখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

সানি-ববি দেওল
ধর্মেন্দ্র তার সময়ে ছিলেন জনপ্রিয়তায় অপ্রতিরোধ্য। ধর্মেন্দ্রর দুই ছেলে বাবার মতোই সফল নায়ক। সিলভেস্টার স্ট্যালন জিম থেকে ফিজিক্যাল ট্রেনিং নেওয়া সানি পুরোপুরিই একজন মারকুটে অভিনেতা। তার চেহারা ও অভিনয়ে বাবার ছায়া পাওয়া যায়। অ্যাকশনে তিনি অনেক বেশি সিদ্ধহস্ত। ছোট ভাই ববিও অনেকটা তাই। দুই ভাই যেমন রোমান্টিক চরিত্রে অভিনয় করেছেন, তেমনি দেশপ্রেমিক চরিত্রেও অনেকটা সফল। দুজনই এখনো সমানে অভিনয় করে চলেছেন।

কাজল-তানিশা
বলিউডের অভিনেত্রী তনুজার দুই মেয়ে প্রকৃত অর্থে দুই মেরুর বাসিন্দা। অভিনয়ের ধরন, চেহারা, আচার ব্যবহার কোনও কিছুতেই তাদের মধ্যে মিল নেই।
 
বলিউডে কাজল প্রতিষ্ঠা পান ‘বাজিগর’ হিট হওয়ার। ‘দিলওয়ালে দুলহানিয় লে জায়েঙ্গে’ আর ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ ছবিতে অভিনয় করে কাজল পৌঁছে যান অনেক উচ্চতায়। দর্শক ধরেই নেন, কাজল মানেই নজরকাড়া অভিনয় আর উচ্ছলতা।

কাজল ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকতেই প্রেম করে বিয়ে করেন আরেক হিরো অজয় দেবগনকে। বিয়ের পরও কাজল যে কয়টি ছবিতে অভিনয় করেছেন তার সবগুলোই সুপারহিট। কাজলই একমাত্র অভিনেত্রী যিনি বিয়ের পরও নায়িকা হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। শাহরুখের বিপরীতে ‘কাভি খুশি কাভি গম’, আমিরের বিপরীতে ‘ফানা’ ছবিতে কাজলের অভিনয় ছিল অসাধারণ। কাজল বর্তমানে ব্যস্ত রয়েছেন তার সংসার ও হোম প্রডাকশন্স নিয়ে।

অন্যদিকে কাজলের ছোট বোন তানিশার ক্যারিয়ার শুরু হয় ভিডিও জকি হিসেবে। রামগোপাল ভার্মার ‘সরকার’ থেকে বলিউডের দর্শক তাকে চিনেছে। ‘নীল অ্যান্ড নিকি’, ‘সরকার-রাজ’-এ নায়িকা হিসেবে অভিনয় করলেও দিদির  মতো প্রতিষ্ঠা তানিশা আজও বলিউডে পাননি।

ফারাহ খান-সাজিদ খান
বলিউডের বিখ্যাত কোরিওগ্র্যাফার ফারাহ খান প্রতিনিয়ত নিজেকে চেনাচ্ছেন বলিউডবাসীদের কাছে। তার নির্দেশনায় বলিউডের বিখ্যাত সব নায়ক-নায়িকারা নেচেছেন। নৃত্য পরিচালনার পাশাপাশি ফারাহ খান পরিচালক হিসেবেও সফল। ‘ম্যা হু না’ এবং ‘ওম শান্তি ওম’ ছবি পরিচালনার মাধ্যমে ফারাহ তার জাত চিনিয়েছেন। ফারাহ খানের ভাই সাজিদ শুরুতে নিজেকে একজন কমেডি তারকা হিসেবেই চিনিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে ছবি পরিচালনা করতে এসে সফল হয়েছেন। তার নির্মিত ‘হেই বেব্বি’ এবং ‘হাউজফুল’ চলচ্চিত্র দুটি ব্লকবাস্টার হিট হয়েছে।

রাইমা-রিয়া সেন
ভারতীয় ছবির কিংবদন্তি নায়িকা সুচিত্রা সেনের উত্তরসূরি রাইমা সেন ও রিয়া সেন। মা মুনমুন সেনের হাত ধরেই দুই বোনের চলচ্চিত্রে হাতেখড়ি। রাইমা সেন অভিনেত্রী হিসেবে সাফল্য পেয়েছেন ‘চোখের বালি’, ‘পরিণীতা’, ‘অন্তরমহল’ প্রভৃতি ছবিতে অভিনয় করে। দিন দিন অভিনয়ে রাইম হয়ে উঠছেন দক্ষ। বড় বোনের তুলনায় বেশ খানিকটা পিছিয়ে রিয়া সেন। অভিনয়ের চেয়ে নিজেকে গ্ল্যামার গার্ল হিসেবে পরিচিত করে তুলতে বেশি নজর তার। নায়িকা হিসেবে ‘গুডলাক’, ‘সাদি নম্বর ওয়ান’, ‘পেয়িং গেস্ট’ প্রভৃতি ছবিতে অভিনয় করলেও আজকাল আইটেম গার্ল হিসেবেই রিয়া ডাক পাচ্ছেন বেশি।

শিল্পা-শমিতা শেঠি
দণি ভারতীয় বান্টু সম্প্রদায়ের দুই বোন শিল্পা শেঠি ও শমিতা শেঠি। দুজনই এখন বলিউডের বাসিন্দা। তাদের একজন নায়িকা হিসেবে জায়গা করে নিলেও অন্যজন আইটেম গার্ল হিসেবেই বেশি পরিচিত। শিল্পা ‘বাজিগর’ ছবি দিয়ে কাজলের সঙ্গেই অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন। কিন্তু থ্যাবড়া নাক আর অভিনয়ে অদতার কারণে তার ক্যারিয়ার থমকে ছিল দীর্ঘদিন। পরে প্লাস্টিক সার্জারি আর ব্রিটেনের টেলিভিশন শো ‘বিগ ব্রাদার’-এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে নিজের জনপ্রিয়তা পরিধি অনেক গুণ বাড়িয়েছেন শিল্পা। এখন তিনি আপাদমস্তক গ্লাম্যার গার্ল। বিয়ে করেছেন ধনকুবের রাজ কুন্দ্রেকে। তারই বাহুলগ্না হয়ে শিল্পা এখন রুপালি পর্দা ছেড়ে বসত গেড়েছেন দুবাইয়ের সবচে উঁচু বহুতল ভবনের অ্যাপার্টমেন্টে।

শিল্পার ছোট বোন শমিতার প্রথম ছবি ‘মোহাব্বতে’। দুই বোনের প্রথম ছবির নায়ক ছিলেন শাহরুখ খান। দুই বোনকে একসঙ্গে  অভিনয় করতে দেখা গেছে ‘ফরেব’ ছবিতে। জাহের, ক্যাশ ও হেই বেব্বি-তে নায়িকা হিসেবে অভিনয় করলেও শমিতা শেঠি নিজেকে এখনও দক্ষ অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি। নায়িকা থেকে তিনি অনেক বেশি আইটেম গার্ল।

আরো অনেকে
উল্লিখিত সেলিব্রিটি ভাইবোনের  বাইরেও বলিউডে আরও অনেক সিবলিং আছে। যেমন দেব আনন্দ-বিজয় আনন্দ, নূতন-তনুজা, টাবু-ফারহা, অয়-রাহুল খান্না, আদিত্য-উদয় চোপড়া, মালাইকা-অমৃতা আরোরা, ফারহান-জয়া আখতার, উত্তমকুমার-তরুণ কুমার, উস্তাদ আমজাদ আলী খানের দুই ছেলে আমান ও আয়ান আলী খান। এসব সেলিব্রিটি ভাইবোন তাদের নিজ নিজ অবস্থানে থেকে তাদের যোগ্যতার প্রমাণ করে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময় ১৮১৮, জানুয়ারি ১০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।