‘সুন্দরবনকে আমি আমার নিজের দেশের সম্পদ বলে মনে করি। আমি কখনো আমার দেশ, ভারত আর বাংলাদেশকে আলাদা করে দেখিনি।
পৃথিবীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনে সুন্দরবনকে ভোট প্রদান কার্যক্রম শুরু করেছে শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশন। ১৯ জানুয়ারি বুধবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের নভো কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয় ‘ভোট ফর সুন্দরবন’ শিরোনামে এ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে বলিউড তারকা ও ইউএনএফপির বিশেষ দূত মনীষা কৈরালা ছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন এবং কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম।
অনুষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, আমরা বাংলাদেশের সংগ্রামী ইতিহাস আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে গর্ব করি। আমরা চাই পৃথিবীর মানুষ আমাদের এই সুন্দর দেশ সম্পর্কে জানুক। এক্ষেত্রে সুন্দরবনকে প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য হিসেবে নির্বাচনে আমাদের সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন তার বক্তব্যে বলেন, আমি পৃথিবীর অনেক দেশ ঘুরেছি, অনেক বন দেখেছি কিন্তু সুন্দরবনের মতো এতো সুন্দর বৈচিত্রময় বন একটাও দেখিনি।
অনুষ্ঠানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনে একে একে সুন্দরবনকে ভোট দেন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, প্রমোদ মানকিন, মমতাজ বেগম, মনীষা কৈরালা, তারামন বিবি বীর প্রতীক, চিত্রশিল্পী হাশেম খান, ভাষা সৈনিক আবদুল মতিনসহ আরো অনেকে।
মনীষা কৈরালার সঙ্গে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন তার বাবা নেপালের সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী প্রকাশ কৈরালা এবং মা নেপালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীমতি সুষ্মা কৈরালা। অনুষ্ঠান তারাও সুন্দরবনকে ভোট দেন।
ভোট প্রদান অনুষ্ঠানে মনীষা কৈরালা ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাংলায় বলেন, আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি। তারপর ইংরেজিতে বলেন, আই লাভ দ্য বিউটিফুল বাংলাদেশ। লং লিইভ ফ্রেন্ডশিপ অব বাংলাদেশ অ্যান্ড নেপাল।
মনীষা কৈরালা এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর উত্তরায় ক্রিয়েটিভ ডেসটিনেশন গ্যালারিতে শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এক চিত্রপ্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক মোস্তাফিজুল হকের রেট্রোস্পেক্টিভ চিত্রপ্রদর্শনীতে নেপাল রাজপরিবারের শতাধিক আলোকচিত্র প্রদর্শিত হয়।
১৯ জানুয়ারি মধ্যরাতে মনীষা কৈরালা নেপালের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন। আয়োজক সূত্রে জানা যায়, ঢাকা ছেড়ে যাবার আগে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস গাড়িতে করে এক চক্কর ঘুরে দেখেন। কারণ তার ছোটবেলার একাধিক ঘনিষ্ঠ বন্ধু এই বিশ্ববিদ্যালয়ে একসময় পড়াশোনা করেছেন এবং ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গল্প করেছেন।
সবশেষে সুন্দরবনকে নিয়ে জারি গান পরিবেশন করেন শিল্পী মমতাজ।
বাংলাদেশ সময় ১৪০৫, জানুয়ারি ২০, ২০১১