ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

মাইকেল চ্যাংয়ের কাছে শাবনূর

বিনোদন প্রতিবেদক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১১

চার মাস পর জানুয়ারিতে দেশে ফিরে ফেব্রুয়ারি শেষ হতে না হতেই শাবনূর দেশ ছাড়লেন। মা-বাবা আর বোন ছাড়া কাউকে না জানিয়ে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাতে উড়াল দিলেন ঢালিউডের এই জনপ্রিয় নায়িকা।

স্বামী চাইনিজ বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান মাইকেল চ্যাংকে সঙ্গ দেওয়ার জন্যই শাবনূরের এই গোপন দেশত্যাগ বলে জানা গেছে। জুন নাগাদ তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। কারণ জুন মাসে তিনি পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকনকে শিডিউল দিয়ে রেখেছেন।

গত বছরের মাঝামাঝিতে শাবনূর বিয়ে করেন অস্ট্রেলিয়ার ধনাঢ্য ব্যবসায়ী মাইকেল চ্যাংকে। এই বিয়ের মধ্যস্থতা করেন শাবনূরের ছোটবোন ঝুমুর এবং তার স্বামী মইনুল। দু বছর আগে অস্ট্রেলিয়াতেই বোনের বাসায় বেড়াতে গিয়ে চ্যাংয়ের সঙ্গে শাবনূরের পরিচয়। সেই পরিচয়ই গত বছর বিয়েতে গড়ায়। তবে নিজের ক্যারিয়ারের কথা ভেবে বিয়ের কথা পুরোপুরি গোপন রাখতে চেয়েছিলেন শাবনূর। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাঙালিদের মাধ্যমে বিষয়টি এ দেশের চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের কাছেও পৌঁছে যায়।

চলতি বছরের শুরুতে ছোটবোন ঝুমুর ও ভগ্নিপতি মইনুলের সঙ্গে বাংলাদেশে বেড়াতে এসেছিলেন মাইকেল চ্যাং। তাকে বিভিন্ন পার্টিতে মইনুল তার ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। তবে অনেকেরই বুঝে নিতে অসুবিধা হয়নি, এই চ্যাং যে শাবনূরের স্বামী। যদিও শাবনূর ও তার পরিবার বিষয়টি পুরোপুরিই এড়িয়ে গেছেন। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে চ্যাং অস্ট্রেলিয়ায় চলে গেলেও শাবনূর তার সঙ্গী হলেন প্রায় একমাস পর।

এবার দেশে ফিরে শাবনূর নতুন কোনো ছবির শুটিংয়ে অংশ নেননি। শহীদুল ইসলাম খোকনের ‘ভালবাসা সেন্টমার্টিনে’ ছবিটি ছাড়া তার হাতে অবশ্য উল্লেখযোগ্য কোনো ছবিও ছিল না। পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকন ফেব্রুয়ারিতে ছবিটির শুটিং শুরু করতে চাইলেও শাবনূরের শিডিউল প্রদানে অপারগতা জানানোয় ছবিটির কাজ শুরু করতে পারেননি। তবে ছবিটির জন্য জুন মাসে শাবনূর তার শিডিউল নিশ্চিত করেছেন বলে জানা গেছে। শাবনূরের পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একজন থেকে জানা গেছে, জুনের আগেই তিনি দেশে ফিরবেন।

শাবনূর এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ছোটবোন ঝুমুর ও ছোটভাই তমালের মতো তিনিও অস্ট্রেলিয়াতেই স্থায়ী হবেন। তবে দেশের সঙ্গেও তিনি যোগাযোগ রাখতে চান। এজন্যই সাভারে আটা-ময়দা আর সয়াবিন তেলের একটি কারখানা গড়ে তোলার জন্য এরই মধ্যে জমি কিনে রেখেছেন।

শাবনূরের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, দেশের পাত্রদের প্রতি মোটেও আস্থা ছিল না ঢালিউডের একসময়ের শীর্ষ এ নায়িকার। চলচ্চিত্রে একচেটিয়া অভিনয় করে অগাধ বিত্তের মালিক হওয়ায় শাবনূরের মধ্যে এই ধারণা তৈরি হয় যে, দেশের পাত্ররা তাকে সম্পদের লোভেই বিয়ে করবে। সেই বিয়ে স্বস্তিদায়ক হবে না। এসব কথা ভেবেই বিদেশি পাত্র বিয়ে করার প্রতি তার ঝোঁক তৈরি হয়। অস্ট্রেলিয়ায় বিত্তশালী চ্যাংয়ের সঙ্গে পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতা হওয়ার পর শাবনূরকে তাই সিদ্ধান্ত নিতে বেগ পেতে হয়নি।

বাংলাদেশ সময় ১৫১০, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।