প্রযুক্তির এই যুগে ইন্টারনেটের ব্যাপক ব্যবহারের কারণে আমাদের দেশীয় সংগীত পরিচালকদের গানের সুর নকলের বিষয়টি খুব সহজেই ধরা পড়ে যায়। চলতি সময়ের জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক ও গায়ক আরফিন রুমীর বিরুদ্ধে এরকমই সুর নকলের অভিযোগ উঠেছে সম্প্রতি।
বিশ্বকাপ উপলক্ষে সবগুলো টিভি চ্যানেলে যেমন বিভিন্ন শিল্পীর গাওয়া ক্রিকেট নিয়ে গান প্রচারিত হচ্ছে, ঠিক তেমনি বিভিন্ন অডিও ভিডিও প্রযোজনা সংস্থাও অডিও অ্যালবাম বাজারে ছেড়েছে। আলোচিত সুরকার ও গায়ক আরফিন রুমী এবং তার ব্যান্ড দূরবীন বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষে গেয়েছে ‘জ্বলে উঠো বাংলাদেশ, গর্জে উঠো বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি গান। আরফিন রুমীর সঙ্গীত পরিচালনায় এই গানটি একটি তামিল ছবির ‘ইন কাতাল সোলা’র পুরোপুরি নকল অভিযোগ করেছেন অনেকেই।
এই তামিল গানটির সুর করেছেন ইয়ান সংকর রাজা। গানটি নকল করার সত্যতা স্বীকার করে আরেফিন রুমী বলেন, ‘বিশ্বকাপ ক্রিকেটের এই গানটি সুর করার প্রায় দুই মাস আগে আমার ব্যান্ড দলের শহীদ, কাজী শুভ ও আইয়ুব শাহরিয়ার বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপল্েয একটি গানের কম্পোজিশন করে আমাকে দেন। আমি এর চুড়ান্ত রূপ দেই। কিন্তু গানটির সুর যে তামিল ছবি থেকে নেয়া হয়েছে তা আমার জানা ছিল না। তারপরও যেহেতু সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে আমার নামটিই আসছে, আমি এ জন্য লজ্জিত। বিষয়টি আগে জানা থাকলে আমি নিজের তি করতাম না। রবিউল ইসলাম জীবনের লেখা এই গানটি স্যাটলোইট চ্যানেল আইতে নিয়মিতভাবে প্রচারিত হচ্ছে। নকল সুরের এই গানটিতে মডেল হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা ও নাট্যব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, নাট্যকার আনিসুল হক, জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ।
বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে একটি নকল সুরের গান প্রচার প্রসঙ্গে চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, গানটির সুর যে নকল করা সেটাই তো জানতাম না। এই গানটি ইউসিবি ব্যাংকের সৌজন্যে প্রচারিত হচ্ছে। অনেকেই এই গানে মডেল হয়েছেন। তারাও হয়তো জানেন না যে গানটির সুর চুরি করা। আমার কাছে তামিল গানটির কপি পাঠালে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
বাংলাদেশ সময় ১৭৩০, মার্চ ০৬,২০১১