ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

পাগল : লালনের নতুন চমক

বিনোদন প্রতিবেদক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩২ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১১

অন্যধারার ব্যান্ড ‘লালন’। লালনের গানে নাগরিক মাত্রা যোগ করে এই ব্যান্ডটি অল্প সময়েই সুপরিচিত হয়ে উঠেছে।

তবে ব্যান্ডের নাম ‘লালন’ হলেও সাঁইজির গানেই ব্যান্ডটি সীমিত থাকেনি। লালনের পাশাপাশি নিয়মিত গাইছে তারা বাউল শাহ আবদুল করিম, রাধা রমন, সিরাজ সাঁই সহ প্রচলিত লোকসঙ্গীত। অবশ্য লালন শাহকে সবসময়ই দিচ্ছে প্রাধান্য। একের পর এক স্টেজ শো আর নিয়মিত অ্যালবাম প্রকাশ করে ব্যান্ডদল ‘লালন’-এরই মধ্যে পেয়েছে তরুণ প্রজন্মের শ্রোতাদের গ্রহণযোগ্যতা। বাংলানিউজের এবারের বিশেষ আয়োজন ‘লালন’ নিয়ে।

লালনের গান গেয়ে অল্প দিনে সুনাম কুড়িয়েছে ‘লালন’ ব্যান্ডটি। খুব বেশি দিন হয় নি এই ব্যান্ডটি প্রতিষ্ঠার। অথচ এরই মধ্যে জনপ্রিয়তায় অনেক প্রতিষ্ঠিত ব্যান্ডকেও তারা ছাড়িয়ে গেছে। ২০০৭ সালে খুলনার এক কলেজের অডিটরিয়ামে কনসার্টের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ‘লালন’। লালন সাঁইয়ের গান ভালোবাসেন এরকমই পাঁচ শিল্পী মিলে গঠন করেন ব্যান্ডটি। প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত তারা একসঙ্গেই আছেন। লাইন আপেও হয় নি কোনো পরিবর্তন। ‘লালন’ -এর পাঁচ সদস্যের ব্যান্ড লাইনআপ হলো: সুমি (ভোকাল), সেন্টু (বেজ গিটার), মাসুম (লিড গিটার), তিতি (ড্রামস) ও লিমন (গিটার)।

‘লালন’ ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম ‘বিপ্রতীপ’ বাজারে আসে প্রতিষ্ঠার বছর ২০০৭ সালে। এ অ্যালবামের ‘অপার হয়ে বসে আছি’, ‘এক চক্ষেতে হাছন কান্দে, আরেক চক্ষে লালন’ প্রভৃতি গান শ্রোতাদের প্রশংসা পায়। প্রথম অ্যালবামে সাফল্যেও ধারাবাহিকতায় লালন শুরু করে দ্বিতীয় অ্যালবামের কাজ।   ব্যান্ডের দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ‘ক্ষ্যাপা’ অডিও বাজাওে আসে ২০০৯ সালে। এ অ্যালবামটির বেশ কিছু গান জনপ্রিয়তা পায়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- চাতক, ক্ষ্যাপা প্রভৃতি।

পর পর দুটি অ্যালবামের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে সম্প্রতি ‘লালন’ শুরু করেছে তাদের তৃতীয় একক অ্যালবামের কাজ। অ্যালবামের নাম রাখা হয়েছে ‘পাগল’। এ অ্যালবামে লালনের সাতটি জনপ্রিয় গান ছাড়াও রাখা হয়েছে বাউল শাহ আবদুল করিমের ‘বসন্ত বাতাসে সইলো’ ও ‘আমি গান গাইতে পারি না’ এবং রাধা রমনের ‘বন্ধু দয়াময়’ গানগুলো রাখান হয়েছে। এ ছাড়াও অ্যালবামের টাইটেল গান ‘পাগল‘ একটি সংগৃহিত গান।

‘পাগল’, এ আবার কেমন নাম? শুধু কি চমক তৈরির জন্যই অ্যালবামটির এই নামকরণ করা হয়েছে? উত্তরে ব্যান্ডের প্রধান ভোকাল সুমি বললেন, মোটেও না। এ অ্যালবামের একটি গানের শিরোনামকেই নামকরণের ক্ষেত্রে বেছে নেওয়া হয়েছে। আমরা যখন ব্যান্ডের নাম ‘লালন’ রাখি, তখন অনেকেই বলেছেন- এ কেমন নাম? সাঁইজির নামে ব্যান্ডের নাম রেখে আমরা যে ভুল করিনি, তার প্রমাণ আমাদের জনপ্রিয়তা। আমাদের তৃতীয় অ্যালবাম ‘পাগল’-এর নাম শুনে তাই অবাক হওয়ার কিছু নেই। আশা করছি এই নামেই অ্যালবামটি গ্রহণযোগ্যতা পাবে।

সুমি আরও বলেন, আমাদের তৃতীয় একক অ্যালবামে স্থান পাওয়া প্রতিটি গানই সবাই শুনেছেন। বিভিন্ন কনসার্টে এগুলো আমরা নিজেদের মতো সংগীতায়োজনে গেয়েছি আমরা। স্টেজে আর লাইভশো-তে দর্শকদের কাছ থেকে যে গানগুলো নিয়ে বেশি সাড়া পেয়েছি  সেগুলো নিয়েই আমরা এ অ্যালবামটি সাজিয়েছি। তিনি আরো বলেন, অ্যালবামের টাইটেল সং ‘পাগল’ একটি সংগৃহীত গান। যে গানটির পরিচিতি কিংবা জনপ্রিয়তা খুব একটা নেই বললেই চলে। তবে গানটি আমাদের পাগল করেছে। সে জন্যই পাগল এবারের শিরোনাম সংগীত হয়ে থাকলো। লালন সদস্যরা আশা করেন আসছে ঈদে লালনের ‘পাগল’ শ্রোতাদেরও মন মাতাবে।

হ্যাঁ, লালনের নতুন চমক ‘পাগল‘ হাতে পাওয়ার জন্য শ্রোতাদের আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। ঈদের অডিও বাজারের বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে এবার বের হচ্ছে লালনের তৃতীয় অ্যালবাম ‘পাগল’।

বাংলাদেশ সময়  ২১২৫, জুন ১৩,২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।