বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে আবারও দেখা দিয়েছে ‘নগ্ন কাটপিস’ জুড়ে দেওয়ার প্রবণতা। প্রায় বছর দুয়েক অশ্লীলতা মুক্ত থাকার পর চলচ্চিত্রে যখন একধরণের সুস্থ হাওয়া বইতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই সক্রিয় হয়ে উঠেছে অশ্লীলতার হোতারা।
চলচ্চিত্রে ইদানিং আবার অনুমোদিতভাবে নোংরা দৃশ্য সংযোজনের অভিযোগে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড। বোর্ডের পক্ষে একটি টিম গোপনে পরিদর্শন করছে দেশের বিভিন্ন স্থানের সিনেমা হলে সেন্সর পাওয়া সিনেমার প্রদর্শনী। সম্প্রতি অনুমোদিত অশ্লীল দৃশ্য সংযোজন করে প্রদর্শনীর অভিযোগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড `নিষিদ্ধ নেতা` ছবিটির সেন্সর সনদ (সনদপত্র নং এলএফ-৪/২০০৭) স্থগিত করেছে। ২০০৭ সালের ১৭ জানুয়ারি এটি সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়েছিল। সেন্সরবিহীন অশ্লীল দৃশ্য সংযোজন করে প্রদর্শন এবং অননুমোদিত পোস্টার ও ফটোসেট ছাপিয়ে প্রচার চালানোর অভিযোগে দ্য সেন্সরশিপ অব ফিল্মস অ্যাক্টের পঞ্চম ধারার আওতায় এ স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি প্রদর্শন করা যাবে না।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, আরো কমপক্ষে ৬টি ছবির বিরুদ্ধে একই অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি বর্তমানে মনিটরিং করা হচ্ছে। অনুমোদিতভাবে অশ্লীল দৃশ্য সংযোজন করে প্রদর্শনের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ছবিগুলোর সেন্সর সনদ বাতিল করা হবে।
বাংলাদেশ সময় ২০৩৫, জুন ১৭, ২০১১