বাংলা বুঝেন, তবে ভালো বলতে পারেন না। এদেশে প্রথম এলেও তিনি আসলে বাংলাদেশেরই মেয়ে।
রাজধানীর গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনের বলরুমে শনিবার বিকেলে ঢাকা ফ্যাশন উইকের ৪নং সেশনে অংশ নেন মিস ইন্ডিয়া উষসী সেনগুপ্ত। সেশন শেষে হোটেল লবিতে দাঁড়িয়েই স্বল্প সময়ের জন্য তিনি বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলেন।
ভাঙা ভাঙা বাংলার সঙ্গে হিন্দি আর ইংরেজি মিলিয়ে উষসী সেনগুপ্ত জানান, বাংলাদেশে প্রথম এলেও বাবা-মার কাছে এদেশের অনেক গল্প শুনেছেন। এ দেশের মানুষ মাতৃভাষার জন্য বুকের রক্ত দিয়েছে। রক্ত দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছে। ছেলেবেলা থেকেই এ দেশে আসার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু সুযোগ হয় নি। এবারই প্রথম বাংলাদেশ থেকে আমন্ত্রণ আসে। কাজ নিয়ে এই সময়টায় ব্যস্ততার মধ্যে কাটছে বলে উষসী জানিয়েছেন।
এই ভারত সুন্দরী আরো জানান, বয়স্কদের কাছ থেকে জেনেছেন ঢাকার কাছেই তাদের ঠাকুরদার বাড়ি ছিল। জায়গার নাম বিক্রমপুর। পূর্বপুরুষের সেই ভিটে নাকি এখন পদ্মা নদীর বুকে।
আয়োজক তাড়া থাকার কারণে খুব বেশিক্ষণ বলতে পারেন নি উষসী। বাংলাদেশের শোবিজ সম্পর্কে অল্পকথায় নিজের ধারণা জানিয়ে বললেন, বয়স্কদের মুখে শুনেছি একসময় এখানে নাকি খুব ভালো ছবি তৈরি হতো । রাজ্জাক, ফেরদৌস, ববিতা আর মৌসুমীর নাম শুনেছি। তবে এদেশের ফ্যাশন শিল্প সম্পর্কে আমার খুব উচুঁ ধারণা। মাধুরী আর ঐশ্বরিয়া থেকে শুরু করে বলিউডের অনেক তারকাই ঢাকার শাড়ির ভক্ত।
গত বছরের ২৩ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে অনুষ্ঠিত মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় সেরার মুকুট জেতেন উষসী। পরে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায়ও ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন মুম্বাইয়ের বাসিন্দা এই বাঙালি সুন্দরী। এরই মধ্যে মডেলিংয়ে তিনি তৈরি করেছেন ক্রেজ। মিস ইন্ডিয়া খেতাব জয়ের আগে থেকেই র্যাম্প-মডেল হিসেবে উষসী বেশ সুপরিচিত। ভারতের শীর্ষ-স্থানীয় এই র্যাম্প-মডেলের আগামী দিনের লক্ষ্য হলো বলিউডে জায়গা করে নেওয়া।
বাংলাদেশ সময় ০১৫০, জুন ১৯, ২০১১