ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

বন্ধুত্ব নিয়ে বলিউডের সেরা ১০ ছবি

অনন্যা আশরাফ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০১১

বলিউড ফিল্মডোমে ‘বন্ধুত্ব’ একটি হৃদয় ছোঁয়া শব্দ। তাই হয়তো প্রায় ছবিতেই দেখা যায়, বিভিন্ন চরিত্রের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক।

কেবল বন্ধুত্বের কাহিনী নিয়ে বলিউডে নির্মাণ করা হয়েছে বেশ কিছু ছবি। এসব ছবির বানিজ্যিক সাফল্য উল্লেখ করার মতোই। বন্ধুত্ব নিয়ে নির্মিত বলিউডের তুমুল জনপ্রিয় সেরা ১০ ছবি নিয়ে বাংলানিউজের এই আয়োজন।

শোলে
বলিউড-ফিল্মের বন্ধুত্ব নিয়ে যখন কথা উঠে তখন জয়-ভিরুর বন্ধুত্বের কথা বলতেই হয়। ১৯৭৫ সালে ‘শোলে’ ছবিটিতে তুলে ধরা হয়েছে জয় আর ভিরুর বন্ধুত্বের অসাধারণ দৃষ্টান্ত। এই দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন ও ধর্মেন্দ্র। পরস্পরের প্রতি জয়-ভিরুর অসামান্য ত্যাগ-ই ছবিতে তাদের বন্ধুত্বের শ্রেষ্ঠতা প্রমাণ করে। ‘শোলে’ ছবির বন্ধুত্বের কাহিনী আজও হিন্দি ছবির  ভক্তদের কাছে ভীষণ স্মৃতিময় হয়ে আছে।

সত্য
বন্ধুত্ব নিয়ে আরেকটি চমৎকার ছবি ‘সত্য’ রিলিজ পায় ১৯৯৭ সালে। আন্ডার ওয়ার্ল্ডের কাহিনীর উপর নির্মিত এই সিরিয়াস মুভিতে সত্য আর ভিকু মাত্রাহের বন্ধুত্বের নিদর্শন তুলে ধরা হয়। অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ি এবং চক্রবর্তী এই ছবিতে দুই বন্ধুর ভূমিকায় অভিনয় করেন। তাদের বন্ধুত্ব প্রমানিত হয় যখন  সত্য আন্ডার ওয়াল্ড ছেড়ে দেবার সিদ্ধান্ত নেন, আর ভিকু দুবাইতে তাকে সকল নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দেন। সত্য তখন সজোড়ে বলে উঠেন ‘মুম্বাই কা কিং কৌন ভিকু মাহাত্রে। ’ সংলাপটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।

কুচ কুচ হোতা হে
১৯৯৮ সালে নতুন প্রজন্মের বন্ধুত্বের বিষয়টি মাথায় রেখে ‘কুচ কুচ হোতা হে’ ছবিটি নির্মিত হয়। শাহরুখ ও কাজল অভিনীত এই ছবিটিতে তাদের বন্ধুত্বের নানা মজার মজার বিষয় তুলে ধরা হয়েছে প্রায় অর্ধেক ছবি জুড়ে। তাদের দুই বন্ধুর মজার চরিত্র দুটি ‘বেট্টি আর্চি’ আর ‘ভেরোনিকা’ নামের জনপ্রিয় কার্টুন চরিত্রের উপর ভিত্তি করে দাঁড় করানো হয়।

দিল চাহাতা হে
সমকালীন বন্ধুত্বকে অনেকেই মনে করেন ঠুনকো। চলতি সময়ের কয়েকজন বন্ধুর মধ্যকার গভীর আন্তরিকতার প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠে ২০০০ সালে মুক্তি ‘দিল চাহাতা হে’ ছবিটির কাহিনীতে। ছবিতে ভিন্ন ভিন্ন লাইফ স্টাইলে অভ্যস্থ তিন বন্ধুর গভীর বন্ধুত্ব দর্শক হৃদয়ে স্থায়ীভাবে রেখাপাত করে। এতে পরস্পরের বন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করে আমির খান, সাইফ আলী খান ও অক্ষয় খান্না।

রাঙ দে বাসান্তি
বন্ধুত্বের গল্প নিয়ে ২০০৬ সালে মুক্তি পাওয়া সুন্দর একটি ছবি ‘রাঙ দে বাসন্তি’। বেশ কজন অভিনেতা নিয়ে দেশপ্রেম নির্ভর এই ছবিটির প্রতিটি মুহূর্তে বন্ধুত্বকে বড় করে তুলে ধরা হয়েছে। এতে দেখা যায় আমির খান, সিদ্ধার্থ, জোশি, মাধবন ও কুনল কাপুর ভালো বন্ধু হলেও ছোট ছোট বিষয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকে। কিন্তু বিপদের সময় সবাই একে অন্যের পাশে এসে দাঁড়ায়। ছবির একটি চরিত্রে মাধবন যখন মারা যায় তখন তার বন্ধুরা প্রতিশোধ নেবার পণ করে এবং তারা সবাই বন্ধুর জন্য প্রান বিসর্জন দেয়।

পেজ থ্রি
২০০৫ সালের বাস্তবধর্মী ‘পেজ থ্রি’ ছবিটি  বন্ধুত্বের গল্প নিয়ে দর্শকদের কাছে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এতে দেখা যায় তিনটি মেয়ের মাঝে সত্যিকারের বন্ধুত্ব, পাশাপাশি থাকা অবস্থায় এই বন্ধুত্বের অনুভূতি কারো কাছেই ধরা পড়ে নি। এই তিন কন্যার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্পুর্ণ ভিন্ন। ছবিটির অভিনেত্রী কঙ্কনা সেন সারমা ছিলেন অনুভূতি পরায়ন, সন্ধ্যা মৃদুল ছিলেন বাস্তবধর্মী এবং তারা সারমা ছিলেন দ্বিধাগ্রস্ত। এতটা অমিলের পরও তাদের বন্ধুত্বের ব্যাপারে তারা ছিলেন একমত।

হে বেবী
‘হে বেবি’ ছবিটি কমেডি নির্ভর ছবি। অক্ষয় কুমার,রিতেশ দেশমুখ এবং ফারদিন খান অভিনীত এই ছবিটিতে বন্ধুত্বের মজার মজার ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যেই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বন্ধুত্বের গভীরতা।

জানে তু ইয়া জানে না
বলিউডের তরুণ নায়ক ইমরান খানের প্রথম ছবি এটি। বন্ধুত্বের গল্পের উপর গড়ে ওঠা ‘জানে তু ইয়া জানে না’ ছবিটিতে বন্ধুর জন্য বন্ধুর আন্তরিকতা দারুনভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এতে দুই বন্ধুর মধ্যে বন্ধুত্ব থেকে ভালোবাসা খুঁজে নেওয়ার ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে।

নিউ ইয়র্ক
কবির খান পরিচালিত ‘নিউ ইয়র্ক’ ছবিটির কাহিনী গড়ে উঠেছে  তিনটি বন্ধুর গভীর বন্ধুত্বকে কেন্দ্র করে। জন আব্রাহাম,ক্যাটরিনা কাঈফ এবং নিল নিতিন মুখেশ অভিনীত এই ছবিটিতে বন্ধুত্বের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার ঘটনাকে তাদের কেন্দ্র করে। ছবিটির কাহিনী দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।

 থ্রি ইডিয়টস
২০১০ সালের ‘থ্রি ইডিয়টস’ সত্যিকার অর্থে বন্ধুত্বে গল্প নিয়ে হাসি-আনন্দে শ্রেষ্ঠ ছবি। তিন বন্ধু রানচোনদাশ (আমির খান), ফারহান কোরেশি (মাধবন) এবং রাজু রাসতোগি (সারমান জোসি)-এর রঙচঙে বন্ধুত্বের কাহিনী নিয়ে এই মজার ছবি। ছবিটির প্রতিটি চরিত্রকে দেখলেই খুব চেনা আর বাস্তব। এতে যখন মাধবন এবং সারমান কলেজের রেজাল্ট নিতে গিয়ে তাদের বন্ধু আমির খানের রেজাল্ট দেখে তখনই বেরিয়ে আসে ছবির বক্তব্য। মজার সেই বক্তব্যটি হলো ‘বন্ধু রেজাল্ট খারাপ করলে কষ্ট হয়, কিন্তু বন্ধুর রেজাল্ট যখন নিজের চেয়ে ভালো হয় তখন আরো বেশি কষ্ট হয়। ’

বাংলাদেশ সময় ০১১০, আগস্ট ৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।